চুয়াডাঙ্গায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একজন ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্ট চালু

স্টাফ রিপোর্টার: মহামারী করোনা কোভিড-১৯ এর কারণে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দেওয়ানী ও ফৌজদারী জরুরি দরখাস্তসমূহ আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত সপ্তাহে তিনদিন অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুনানী ও নিষ্পত্তি করা হবে। গত ২৫ জুলাই জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই আদেশে আরো বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করায় আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার এই তিনদিন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দেওয়ানী ও ফৌজদারী জরুরি দরখাস্তসমূহ প্রয়োজন অনুযায়ী তারিখ ও সময় নির্ধারণপূর্বক ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুনানী ও নিষ্পত্তি প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
অপরদিকে, গত ২৫ জুলাই চুয়াডাঙ্গার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত একপত্রে জানা গেছে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একজন ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুকে উক্ত সময়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উপস্থাপন করা যাবে।
এমতাবস্থায়, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মানিক দাস স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন বলেন, জেলা জজ আদালত ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট এই দুটি আদালতের কার্যক্রম চালু রয়েছে। তবে, অন্যান্য আদালতের কার্যক্রম বিষয়ে উচ্চ আদালতের কোনো নির্দেশনা না থাকায় ওই সকল কোর্টের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

 

Comments (0)
Add Comment