চুয়াডাঙ্গায় দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক বিচার কার্যক্রম শুরু আজ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক বিচার কার্যক্রম শুরু হতে হচ্ছে। আজ বুধবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। হাইকোর্ট বিভাগের জেনারেল রেজিস্ট্রার মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  তবে, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধকল্পে আদালত প্রাঙ্গণ এবং এজলাস কক্ষে প্রত্যেকে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

গত ৩০ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের পত্রে বলা হয়েছে, দেশের প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের জৌষ্ঠ বিচারপতিদের সাথে আলোচনাক্রমে এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, অধস্তন সকল দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে ৫ আগস্ট বুধবার হতে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বভাবিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আদালতসমূহ পরিচালনার ক্ষেত্রে আদালত প্রাঙ্গণ এবং এজলাস কক্ষে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে।

জেলা জজ ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের প্রবেশপথে এবং প্রকাশ্যে স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা হিসেবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেসিন স্থাপনসহ সাবান পানির ব্যবস্থা করতে হবে। আদালত প্রাঙ্গণে ও এজলাস কক্ষে প্রত্যেককে আবশ্যিকভাবে সার্বক্ষণিকভাবে মুখাবরণ এবং গ্লাভস পরিহিত অবস্থায় থাকতে হবে। অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সকলকে আদালত প্রাঙ্গণে আসা থেকে বিরত থাকতে হবে। আদালত প্রাঙ্গণ ও আদালত ভবনে প্রবেশ করার সময় প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। একটি মোকদ্দমার/মামলার শুনানিতে প্রত্যেক পক্ষে সর্বোচ্চ দুজন আইনজীবী অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এজলাস কক্ষে ৬ জনের অধিক লোকের সমাগম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। প্রত্যেককে কমপক্ষে ৬ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। জামিন শুনানি এবং আমলী আদালতে ধার্য্য তারিখের হাজিরার জন্য কারাগারে থাকা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কারাগার হতে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনোভাবে আদালত প্রাঙ্গণে বা এজলাস কক্ষে হাজিরা করার আবশ্যকতা নেই। আদালত প্রাঙ্গণে জনসাধারণের ব্যবহার্য স্থানসমূহ, সরঞ্জামাদি, এজলাস কক্ষ এবং আসবাবপত্র যথাযথভাবে জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করত: সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নিজেকে কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা করতে হবে এবং অন্যকে সুরক্ষিত থাকতে সহায়তা করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির ওসমান গণি জানান, আদালত ভবনে বেসিন স্থাপন, স্প্রে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক ও গ্লাভস পরিধান করা এবং শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা করা হবে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা আব্দুর রশিদ জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে আদালত পরিচালনার জন্য জেলা জজ মহোদয়ের সাথে আইনজীবী সমিতির আলোচনা হয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদালতে উপস্থিত হতে সকল আইনজীবীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত. মহামারী নভেল করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ দেখা দিলে সরকার ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সেই থেকে আদালতের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তিতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ৯ মে  ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালত পরিচালনার জন্য গেজেট প্রকাশ করে। সেই থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালত পরিচালনা হয়ে আসছে।

 

Comments (0)
Add Comment