চুয়াডাঙ্গায় দ্রব্যমূল্যের হালচিত্র

 

স্টাফ রিপোর্টার: চাষ হয় বলেই বাঙালীর পাতে এখনও পাঙাস জোটে। নদীর চিতল চলে গেছে সেই কবে। দেশি রুই, কাতলা, মৃগেল, মাগুর মধ্যবিত্তের নাগালে নেই বললেই চলে। গরুর গোস্ত? যে জেলার ব্র্যান্ড ব্লাক ব্যাঙ্গল গট, সেই জেলায় এক কেজি খাসির গোস্তের দাম ৮শ। ঈদের দিন কোন কসাই কত হাকে কে জানে?

প্রতিবারই পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ^াস ওঠে। এবার রোজা আসার মাসখানেক আগেই বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। তড় তড় করে তেলের দাম দ্বিগুনে গিয়ে দাঁড়ায়। অবশ্য রোজার সপ্তাহখানেক আগে কিছুটা কমে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি বাজারের খুচরা দোকানে গিয়ে যে মূল্য তালিকা পাওয়া গেছে তা খুব একটা স্বস্তির নয়। এক লিটার সোয়াবিন তেল ১শ ৭০ টাকা। ক্ষেত্র বিশেষ কিছুটা কম। ছোলা ৭২ থেকে ৮০ টাকা। এক কেজি বেশম ১শ হলেও শবজির বাজারে বেগুনের দাম বেড়েছে দ্বিগুনের বেশি। ইফতারিতে বেগুনের চেয়ে এবার পিয়াজুতেই পরতা বেশি। গতবার পিয়াজের দাম চড়া হওয়ায় পিয়াজুর নাম হয়েছিলো পেপেজু। ক্ষিরার দাম কদিনের মধ্যে বেড়েছে কয়েক গুন। যদিও গতবারের তুলনায় এবার খুব একটা বেশি নয়। লেবু টিপে চিপে তেতো হয়ে রশ না বের হলেও এক হালি কাগজি লেবু কিনতে গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এবারও বাজারে হরেক রকম ক্ষির খেজুর। যার যেমন সাধ্য সে তেমনটা কিনবে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের স্বাদের খেজুর কিনতে হলে ৫শ’র কমে মেলা ভার। মুরগির বাজারে গেলে ক্রেতার ভিড় দেখে মনেই হবে না, মানুষের অভাব আছে। বয়লার ১৬০ টাকা, লেয়ার ২৬০ টাকা, সোনালী ২৮০ টাকা, প্যারেন্টস ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি সাড়ে ৫শ টাকা, গরুর গোস্ত সাড়ে ৬শ, খাসির গোস্ত ৮শ টাকা। মাছের বাজারে ঘুরে দেখা গেছে রুই ২৮০, কাতলা ২৯০, মৃগেল ২শ আর পাঙাস দেড়শ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Comments (0)
Add Comment