চুয়াডাঙ্গায় পিতার দোকানে যাওয়াকে কেন্দ্র করে তিন ভায়ের মধ্যে বিরোধ

ইটের আঘাতে ছোট ভাই জখম : বড় ভাইয়ের গলায় ছুরির পোঁচ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় পিতার দোকানে যাওয়া নিয়ে তিন ভাইয়ের মধ্যে বিরোধের জেরে বড় ভাই হারুনুর রশীদের (৩১) গলায় ছুরি দিয়ে পোঁচ ও ইটের আঘাতে ছোট ভাই রাইহান হোসেনের মাথায় (২১) জখমের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়ার দক্ষিণপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা আহত দুই ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। গলায় ছুরির পোঁচে গুরুতর জখম হারুনুর রশীদকে সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। আহত দুই ভাই হারুনুর রশীদ ও রাইহান হোসেন দৌলতদিয়ার দক্ষিণপাড়ার মুরাদ হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার নিচের বাজারে মুরাদ হোসেনের ‘মুরাদ স্টোর’ নামে একটি দোকান রয়েছে। মুরাদ হোসেন ও তার তিন ছেলে এই দোকান দেখাশোনা করেন। তবে গত দুইদিন যাবত তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই হারুন দোকানে না যাওয়ায় গতকাল হারুন ও রাইহানের মধ্যে বাকবিত-ার সৃষ্টি হয়। এরই এক পর্যায়ে হারুন একটি ইট দিয়ে রাইহানের মাথায় আঘাত করে জখম করে। পরে পরিবারের সদস্যরা রাইহানকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে রাইহান তার মেজভাই ইমরান হোসেনকে জখমের বিষয়ে জানায়। এসময় ইমরান ও রাইহান দুইভাই হারুনের ঘরে গেলে তিন ভাইয়ের মধ্যে বাকবিত-ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ইমরানের হাতে থাকা একটি ধারালো ছুরি দিয়ে হারুনের গলায় পোঁচ দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় হারুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখেন।
জখম হারুনের স্ত্রী আসিয়া খাতুন জানায়, দোকানে যাওয়া নিয়ে হারুন ও তার ছোট ভায়ের মধ্যে বাকবিত-ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে হারুন রাইহানের দিকে একটি ছোট ইট ছুড়ে মারলে তা রাইহানের মাথায় লাগে। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে এসে মেজ ভাই ইমরানকে সঙ্গে নিয়ে রাইহান আমাদের ঘরে আসে। এসময় তিন ভাইয়ের মধ্যে বাকবিত-ার সৃষ্টি হয়। এর এক পর্যায়ে ইমরান একটি ছুরি দিয়ে হারুনের গলায় পোঁচ দিয়ে জখম করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, হারুনের অবস্থা শঙ্কামুক্ত কিনা এখনি বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment