চুয়াডাঙ্গায় বিএমএ’র মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার: সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির, পূজাম-প, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নি সংযোগ, ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) আহ্বানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল লতিফ, ডা. ইকরামুল হক, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. হোসনে জারী তহমিনা আঁখি, সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) ডা. আকলিমা খাতুন, সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন, ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন, অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. নুরুন্নাহার খানম নদী, সার্জারি বিশেষজ্ঞ এহসানুল হক তন্ময় প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া এই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব ধর্মের মানুষের যে সহাবস্থান এবং সাম্প্রদায়িক সম্পর্ক, তা পৃথিবীতে বিরল। একাত্তরে দেশ স্বাধীনের পর কিছু পাকিস্তানপ্রেমী দেশবিরোধী এদেশে থেকে গেছে। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে এই সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করে যাচ্ছে। সম্প্রতি শারদীয় দুর্গাপূজা চলাকালীন কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির পাড়ের অস্থায়ী মন্দিরে হনুমানের পায়ের ওপর পরিকল্পিতভাবে পবিত্র কুরআন শরীফ রেখে গুজব ছড়িয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাঙচুসহ হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে বাধা দেয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের শতাধিক মানুষকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে কমপক্ষে পাঁচজনকে। এর পেছনে রয়েছে সেই দেশবিরোধী কুচক্রী মহলের হাত। এসকল ঘটনায় জড়িতরা যে দলেরই হোক তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। একইসাথে ভবিষ্যতে এই দেশবিরোধী শক্তি যেন মাথা চাড়া দিতে না পারে সেবিষয়েও সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

Comments (0)
Add Comment