চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাকপ্রতিবন্ধী শিশু আহত

সংবাদকর্মীদের উদ্দ্যোগে নেয়া হচ্ছে রাজশাহী

স্টাফ রিপোর্টার: গতকাল শনিবার সন্ধার দিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার কোমরপুরে নিজ বাড়িতে মই এর উপরে ওঠার সময় ঝুলে থাকা বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মই থেকে মাটিতে পড়ে যায় ৭ বছরের বাকপ্রতিবন্ধী শিশু তামিম। শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত রাজশাহীতে নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু দিনমজুর বাবার পক্ষে রাজশাহী নেবার ক্ষমতা নেই। ভেঙ্গে পড়েন তারা। বিষয়টি দেখে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আফজালুল হক তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে ভিডিওসহ পোস্ট করেন। হাত বাড়িয়ে দেন সমাজের দানশীলরা। রাত ১২টা পর্যন্ত বিকাশে ১৫ হাজার টাকা জোগাড় হয়। তামিম দামুড়হুদা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মাঠপাড়ার কামরুজ্জামানের ছেলে। তামিম দামুড়হুদা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মাঠপাড়ার কামরুজ্জামানের ছেলে। শিশুটির বাবা কামরুজ্জামান বলেন, আমার ছেলে কথা বলতে পারেনা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মই থেকে মাটিতে পড়ে যায়। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী রেফার করেছেন। আমি দিনমজুর, দিন আনি দিন খায়। ছেলেকে রাজশাহী নেয়ার মত সামর্থ্য ছিল না। সংবাদকর্মীরাই টাকা জোগাড় করে রাজশাহী পাঠাচ্ছেন।  চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাজিব পারভেজ দীপ্ত বলেন, শিশুটির মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। সে শঙ্কামুক্ত নয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী রেফার করা হয়েছে। রাত ১ টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সরকারি অ্যাম্বুলেন্সেযোগে রাজশাহী নেয়ার প্রস্তুতি চলছিল। এছাড়াও দৈনিক সময়ের সমীকরণের সাংবাদিক আব্দুল হাকিমসহ সদর হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবক ইমতিয়াজ আহমেদ অন্তর সহযোগীতা করেন।

Comments (0)
Add Comment