স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার জোয়ার্দ্দারপাড়ায় মাদক সেবন করাকে কেন্দ্র করে বিরোধ থেকে দুই পক্ষের মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে হওয়া এ ঘটনায় নারীসহ ছয়জন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে নোমান নামের এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মসজিদপাড়ার মৃত সালাউদ্দীনের স্ত্রী শিল্পী খাতুন (৪০) ও তার ছেলে নোমান (২০), একই এলাকার টিটনের স্ত্রী মিনু খাতুন (৪০) ও তার ছেলে পুলক (২২), বাগানপাড়ার জাহাঙ্গীরের ছেলে মানিক (৩২) এবং মসজিদপাড়ার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ফিরোজ।
পুলিশ বলছে, মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত ফিরোজ ও মানিক নামের দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
আহতরা জানান, মসজিদপাড়ার টিটনের ছেলে সিয়াম এবং আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে শিপলু নিয়মিত ইয়াবা সেবন করে। বুধবার রাতে কোন কারণে দুজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। বিরোধের একপর্যায়ে সিয়াম শিপলুকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আজ বৃহস্পতিবার সকালে শিপলুর মা সিয়ামের বাড়িতে গিয়ে এ নিয়ে অভিযোগ করেন, যা থেকে দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিকেলের দিকে উত্তেজনা চরমে পৌঁছালে দুই পক্ষই ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় চারজনকে কুপিয়ে এবং দুজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
স্থানীয়রা সবাইকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। গুরুতর আহত নোমানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের গভীর ক্ষত থাকায় তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জেসমিন আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, নোমানের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তার শরীরে একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর আঘাত রয়েছে। মানিক ও ফিরোজ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। অন্যদের শরীরেও ধারালো অস্ত্রের ক্ষত পাওয়া গেছে, তাদের ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক ওসি খালেদুর রহমান দৈনিক মাথাভাঙ্গা কে বলেন, মাদক সেবন করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। একজনকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহীতে নেওয়া হয়েছে। দুজনকে থানায় হেফাজতে রাখা হয়েছে, তারাও মাথায় আঘাত পেয়েছেন। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।