চুয়াডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধার কার্ড করিয়ে দেয়ার নামে দেড়লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ 

অভিযুক্ত বেগমপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোক্তার

গড়াইটুপি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার কার্ড করে দেয়ার নামে ৫ বছর আগে বিভিন্ন দফতরে লাগবে মর্মে টাকা নেয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী দিনমজুর উম্বাদ আলি। জমি বিক্রি করে তিনি ওই টাকা দিয়েছিলেন। গতকাল শনিবার তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন। দীর্ঘদিনের ওই টাকা ফেরত পেতে বিভিন্ন জায়গায় দারস্থ হন তিনি। তার দাবি তৎকালীন সময় মরহুম মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছাইদুর রহমান ছাব্দার চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তিনি ভারতের মাজদিয়ায় প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেও মুক্তিযোদ্ধা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ত্রিপুরা পাড়ার মৃত. বেলায়েত হোসেনের ছেলে উম্বাদ আলি (৭৬) বিভিন্ন গাছের পরিত্যক্ত গুঁড়ি তুলে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অভাব অনটনের সংসারে কোনো রকম দিন আনে দিন খায়। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি ৫ হাজার টাকা দিতে পারেননি বলে ওই সময় মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হতে পারেননি। পরে ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভূক্ত করার জন্য তিনি তার সন্তানদের কাছে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। স্থানীয় ইউনুস আলির মাধ্যমে তিনি বেগমপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোক্তার হোসেনের কাছে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা দেন এবং বিভিন্ন জায়গায় যাবার কথা বলেও অনেক টাকা নিয়েছেন। বিভিন্ন দফতরে টাকা লাগবে এ কথা বলে গোপনে ওই টাকা নিয়ে যান অভিযুক্ত মোক্তার হোসেন। পরে দীর্ঘ ৫ বছর পরেও কোন ফল না পেয়ে টাকাও ফেরত না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অবশেষে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান প্রতারণার শিকার ওই ভূক্তভোগী। বিভিন্ন সময় মোক্তারের কাছে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননা বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগীর সন্তান মিজার হোসেন। তার পিতার জমি বিক্রি করে দেয়া টাকা তারা ফেরত পেতে চান। বিষয়টি মোক্তার হোসেন স্বীকার করে জানান আমি টাকাগুলো নিয়ে প্রয়াত শুকুর বাঙালীর কাছে দিয়েছিলাম বিনিময়ে আমি ১০ হাজার টাকা পাই। আমি উম্বাদের কাছে থেকে টাকা নিইনি। গড়াইটুপির ইউনুস নামের আমার এক আত্মীয়ের কাছথেকে নিয়েছি। ভুক্তভোগীর সন্তান মিজার হোসেন জানান, আমার পিতার আবদারে জমি বিক্রি করে ওই সময় টাকা পরিশোধ করেছিলাম। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম ওঠেনি এবং এখন টাকা ফেরত দিতেও বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেছেন।

Comments (0)
Add Comment