চুয়াডাঙ্গায় শনাক্ত করোনা রোগী ৫ হাজার ছাড়ালো

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় করোনা শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। সর্বশেষ গত সাতদিনেই শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার রোগী। এ পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত ১৪৮ জন। জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয় এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ভারত সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় প্রথম এক হাজার ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১৫১দিনে। এরপর ২৯০ দিনে দ্বিতীয় এক হাজার রোগী শনাক্ত হয়। এরপরই রোগী শনাক্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। তৃতীয় ১ হাজার রোগী ২৪ দিনে, চতুর্থ ১ হাজার রোগী ১০দিনে ও পঞ্চম ১ হাজার শনাক্ত হয়েছে মাত্র আটদিনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ৬৪ জন শনাক্ত হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায়। এ ছাড়া আলমডাঙ্গা ও জীবননগরে ২৫ জন করে এবং দামুড়হুদায় ১৭ জন শনাক্ত হয়েছেন। নতুন ১৩১ জন নিয়ে জেলায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৫৫। ১৪ জুলাই পর্যন্ত ১৮ হাজার ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ৫ হাজার ৫৫ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় জেলায় চারজন মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় ১৪৮ জন মারা গেলেন। এর বাইরে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কতোজন, তার সঠিক পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে নেই।
সিভিল সার্জন এএসএম মারুফ হাসান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত ৫ হাজার ৫৫ জনের মধ্যে ২ হাজার ৮৭৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে ১ হাজার ৯১৫ জন বাড়িতে আইসোলেশনে এবং ১১৮জন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন।
গত বছরের ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের বাবুপাড়ার বাসিন্দা সাব্বির আহমেদ। ইতালি থেকে দেশে ফেরার পর তার করোনা শনাক্ত হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের রেড জোনে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ওই যুবক। গত বছরের ৩০ এপ্রিল সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (২৯) নামের এক যুবক প্রথম করোনায় মারা যান।

Comments (0)
Add Comment