স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অধীন ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির (১১–২০ গ্রেড) স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কমিটি। হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটি মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. কাজী মো. আইনুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত প্রতিনিধিদলটি দিনব্যাপী তদন্ত চালায়। কমিটি জানিয়েছে, আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এনে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন (মামলা নং-১০৭৬৬/২০২৫) দায়ের করেন সাকিল আহম্মেদ ও মোহা. উম্মে আতাইয়া সোহানা। হাইকোর্ট গত ৮ জুলাই এ বিষয়ে রায় দেন। সেই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়।
তদন্তের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশকারী গণমাধ্যমকর্মীদেরও সাক্ষ্য ও প্রমাণাদি উপস্থাপনের জন্য ডাকা হয়। এ সময় দৈনিক সময়ের সমীকরণের সামি,, দৈনিক মানবকণ্ঠের প্রতিনিধি মো. আব্দুল্লাহ হক, দৈনিক মাথাভাঙ্গার মাল্টিমিডিয়া চিফ শেখ রাকিব, দৈনিক আজকের চুয়াডাঙ্গার মুন্না রহমান ও রেডিও চুয়াডাঙ্গার আশিক আহমেদসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষাপট ও সপক্ষে প্রমাণাদি কমিটির কাছে হস্তান্তর করেন।
তদন্ত কমিটির সভাপতি ডা. কাজী মো. আইনুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য বা সিদ্ধান্ত জানানো সম্ভব নয়। আমরা সবার বক্তব্য ও কাগজপত্র গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করছি।