চুয়াডাঙ্গায় হোটেল মালিক, রাধুনি, খাদ্য সরবরাহকারী ও কৃষকদের নিয়ে কর্মশালায় স্থানীয়ভাবে খাদ্য সংগ্রহ, পরিবেশবান্ধব রান্না এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সক্ষমতা বৃদ্ধি আহবান

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় হোটেল মালিক, রাধুনি, খাদ্য সরবরাহকারী ও কৃষকদের নিয়ে স্থানীয়ভাবে খাদ্য সংগ্রহ, পরিবেশবান্ধব রান্না ও বর্জ্য হ্রাস বিষয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত।

গতকাল দুপুর ২টার দিকে প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগের সংস্থার মিটিং রুমে হোটেল মালিক, রাধুনি, খাদ্য সরবরাহকারী ও কৃষকদের নিয়ে স্থানীয়ভাবে খাদ্য সংগ্রহ, পরিবেশবান্ধব রান্না ও বর্জ্য হ্রাস বিষয়ে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে রিসোর্স পার্সন হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুর হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র কেমিষ্ট নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস ও নিরাপদ খাদ্য অফিসার সজিব পাল, অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক মাথাভাঙ্গার মাল্টিমিডিয়া চিপ শেখ রাকিব ও দৈনিক খাসখবর পত্রিকার চিপ রিপোটার আলমগীর কবীর শিপুল। কর্মশালায় তিনারা বলেন, কোন হোটেলে কাঁচা ও রান্না করা খাবার একই ফ্রিজে একসাথে রাখা যাবে না, বাসি বা আগের দিনের খাবার পুনরায় গরম করে বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয়, রাস্তার ধুলোবালি ও মানুষের হাঁচি-কাশি থেকে খাবার রক্ষা করা জরুরি, প্রতিটি হোটেলে স্পষ্ট ও দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা টাঙানো বাধ্যতামূলক, খালি হাতে খাবার পরিবেশন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাদ্য ব্যবহার, পরিবেশবান্ধব রান্নার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং খাদ্যবর্জ্য কমানো, তিনারা আরো বলেন, প্রতিটি পরিবার যদি রান্নাঘর থেকেই বর্জ্য পৃথকীকরণ শুরু করে এবং জৈব বর্জ্য কম্পোস্টে রূপান্তর করে, তবে শহর ও গ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ অনেকটাই কমে যাবে। রান্নায় কম জ্বালানি ব্যবহার, ঢাকনা দিয়ে রান্না, সোলার কুকারের ব্যবহার এসব ছোট ছোট পদক্ষেপ পরিবেশ রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখে। কর্মশালার উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়কারী সাইদুর রহমান। অনুষ্টানটি পরিচালনা করেন সংস্থার সহসম্বয়কারী আসাদুজ্জামান, সহযোগিতায় ছিলেন সংস্থার আসাদুজ্জামান, মহিবুল হাবীব, হামিদুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান।