স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে স্কুলছাত্র মাহাবুবুর রহমান তপু (১৮) হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কিশোর রুপম (১৬) আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রুপম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে। চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের (জেলা ও দায়রা) বিজ্ঞ বিচারক মুসরাত জেরিনের জামিন আবেদন নাকচ করে বয়স বিবেচনায় রুপমকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে ৮ নভেম্বর মামলার আসামি সুমনকে গ্রেফতার করে। ১১ নভেম্বর মামলার অন্যতম আসামি এমদাদুল হক আকাশ আদালতে আত্মসমর্পণ করে। তবে অন্য আসামিরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক একেএম জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে কিশোর রুপম তার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন বলেন, আজ দুপুরে স্কুলছাত্র মাহাবুবুর রহমান তপুর হত্যা মামলার আসামি রুপম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে বলে জেনেছি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার গুলশানপাড়ায় আল হেলাল মাধ্যমিক ইসলামি একাডেমি বিদ্যালয়ে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলাকালে স্কুল প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে এসএসসি পরিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান তপুকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওইদিন রাত ১২টার দিকে তপুর ভাই মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ ও আরও অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরদিন অভিযান চালিয়ে সুমন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে আকাশ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ও ২৩ নভেম্বর রুপম ও আত্মসমর্পণ করে।