স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা কমিটিরসভা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহমান সঞ্চালনা করেন। সভায় জেলার পুলিশ সুপার গোলাম মওলা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) নয়ন কুমার রাজবংশী, সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আওলিয়ার রহমান, আনসার ও ভিডিপির সার্কেল অ্যাডজুট্যান্ট আবুল হাসানাত মো. লতিফুল আলম, ৬-বিজিবির জুনিয়র কর্মকর্তা মিরাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম সাইফুল্লাহ, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথী মিত্র, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমীন, জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. মারুফ সরোয়ার বাবু, এনএসআই ফিল্ড অফিসার জ্যোতি মল্লিক, জেলা শিক্ষা অফিসার দিল আরা চৌধুরী, জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক দেওয়ান মো. তরিকুল ইসলাম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. শাহজালাল খান, জামায়াতের জেলা আমির রুহুল আমিন, বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মইনুদ্দিন মুক্তা, গ্রাম আদালতের ডিস্ট্রিক ম্যানেজার মো. আছাদুজ্জামান, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, আগামী পবিত্র ঈদুল আজহায় সড়কে পশুর হাট বসতে না পারে সেদিকে ইজারাদার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি সতর্কতা রইলো। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা তদারকী করবেন। জেলায় আত্মহত্যার বিষয়টি কমিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ কাজ করছে। পৌরসভা এলাকায় রাস্তার দু’পাশে ইট, বালু ও খোয়া রাখায় জনগণের যে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আছে। অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়া হবে। লিগ্যাল এইডের ৪৬টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এরফলে আদালতের ওপর চাপ কমবে। ইজিবাইক চলাচল করতে হলে নিয়ম মেনে চলতে হবে। সড়কে কোনরকম হাঙ্গামা করা যাবে না। বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে যে সকল নাশকতার মামলা আদালতে চলমান আছে তা প্রত্যাহারের তালিকা চলে এসেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সভা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পুলিশ সুপার গোলাম মওলা বলেন, রাস্তার ওপর হাটের সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। চুয়াডাঙ্গার পশুর হাটের ওপর সারাদেশের চাপ আছে। হাটের ইজারাদারদের সাথে কথা বলে ঠিক করা হবে। ওদের স্বেচ্ছাসেবক থাকে। কিশোর গ্যাংয়ের দৌড়াত্ম বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। দোকানে অভিযান চালানো হবে। ডিউটি অবস্থায় পুলিশের পোষাকের বিষয়টি দেখা হবে। প্রতিটি থানায় একটি কম্পিউটার দিয়ে একজন নারী পুলিশকে বসানো হয়েছে এবং একটি মোটরসাইকেল দেয়া হয়েছে। কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে কিনা দেখবেন। ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে হবে। মোটরসাইকেলের জরিমানা বন্ধে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। মাদক ধরতে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাদক বিক্রেতাদের ধরার জন্য কাজ করছে পুলিশ