চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনিরা পারভীন

নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন। সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন আলী, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মুনিম লিংকন, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা চুয়াডাঙ্গার উপ-পরিচালক জামিল সিদ্দিকসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ। শুরুতে পূর্বের সভার কার্যবিরণী পাঠ করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিন।
সভায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, চোরাচালানসহ বেশকিছু বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কেউ যদি নারীর প্রতি সহিংসতা করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রথমে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে।
অবৈধ যান ইজিবাইকের বিষয়ে তিনি বলেন, অবৈধ যান মহাসড়কে উঠতে দেয়া হবে না। নির্ধারিত রং অনুযায়ী স্ব স্ব উপজেলার মধ্যে চলাচল করবে। গত সভায় এ মাসের ১১ তারিখ পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিলো। অর্থাৎ আগামীকাল (আজ) থেকে কঠোরভাবে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধুমাত্র রোগী বহনের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেয়া হবে। তাছাড়া এক উপজেলার গাড়ি অন্য উপজেলায় চললে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তিনি বলেন, মাদকের ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া যাবে না। জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে। মাদক বন্ধে অভিযানের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শরিয়ত উল্লাহ ঈুহঃধ নামের একটি নিষিদ্ধ ওষুধ মাদকদ্রব্য হিসেবে ব্যবহারের পরিমাণ বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন ওষুধ প্রশাসন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ওষুধের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পরিমাণ বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে বলেন, লাইসেন্স বাদে কেউ ওষুধ বেচা-কেনা করতে পারবে না। প্রত্যেকটি ওষুধের দোকানেই লাইসেন্স থাকতে হবে। কেউ কেউ মুদি দোকান বা ভ্যারাইটিজের সাথে ওষুধও বিক্রি করে থাকে, সেটা কিন্তু চলবে না।

 

Comments (0)
Add Comment