চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রবেশদ্বারে ময়লা আবর্জনার স্তুপ

স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আশেপাশে বসবাসকারী ও পথচারীরা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহরের চার প্রবেশদ্বারে রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে। এতে দুর্গন্ধময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ঠিক তেমনি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন আশেপাশে বসবাসকারী ও পথচারীরা। কেউ কেউ ব্যক্তিগত জমি ভরাট করার জন্যও ময়লার স্তুপ করছে। এতে পথচারীদের যেমন দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে, ঠিক তেমনি ওই এলাকায় যারা বসবাস করছে তাদেরও দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে। শুধু দুর্ভোগে শেষ হলেও হয়, এবার যারা ঈদে নাড়িরটানে বাড়ি আসবে তারা শহরে ঢুকতেই নাকে পাবে দুর্গন্ধ। এতে তাদের ভেতর এক বিরুপ ধারণা আসবে। অতিদ্রুত এসব ময়লা আবর্জনা অপসারণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে স্থানীয়রা।
সরজমিনে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা শহরের চার প্রবেশপথ তথ মাথাভাঙ্গা ব্রিজের নিচে ও আশেপাশের ব্যাপক ময়লা আবর্জনা ছিটিয়ে ছড়িয়ে আছে। এতে চরম দুর্গন্ধময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। নাকে কাপড় দিয়ে পথচারীদের চলাচল করতেও দেখা যায়। চুয়াডাঙ্গা ঘোড়ামাড়া ব্রিজের নিকট ট্রাক টার্মিনালের জন্য রাস্তার পাশে জমি ময়লা আবর্জনার দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। এতে ওই স্থান থেকে চলাচলের ব্যাপক ভোগান্তি পোয়াতে হচ্ছে।
অপরদিকে, ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডের রাস্তার দুই পাশ ও ভিমরুল্লাহ এলাকাসহ বেশ কিছুস্থানে ব্যক্তিগত মালিকানা জমিতেও ফেলা হচ্ছে ময়লা। এতে আশেপাশের বাড়ির লোকজন দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানায়, ময়লা আবর্জনায় স্তুপে পরিণত হয়েছে এসব এলাকায়। এতে পরিবেশ দূষণসহ মারাত্মক আকার ধারণ করছে। ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধময় পরিবেশের কারনে ছড়িয়ে পড়ছে রোগ জীবাণু অতিষ্ট হয়ে পড়েছে জনজীবন। বায়ু দুষিত হওয়ায় বিভিন্ন রোগ জীবাণুর সৃষ্টি হচ্ছে। মশা-মাছি বংশ বৃদ্ধি করছে ফলে হুমকির মুখে আজ জনস্বাস্থ্য। এতে আশপাশের মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে অতিষ্ঠ। কোমলমতি শিশুরা এই ময়লার পাশ দিয়ে চলাফেরা করতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে নানা রকম বায়ুবাহিত রোগে। একই সঙ্গে যাতায়াতকারী যাত্রীরা দুর্গন্ধযুক্ত এলাকা পার হওয়ার সময় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
এদিকে ঈদের ছুটিতে আসা নাড়ির টানে চুয়াডাঙ্গা শহরে ঢোকার আগেই দুর্গন্ধময় পরিবেশের কারণে ভিন্ন ধারণা তৈরি হবে বলে মন্তব্য করে সুশীল সমাজ। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন বলেন, আমরা সব সময় পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে চেষ্টা করি। প্রতি পানের হাটবারের দিন আমরা মাথাভাঙ্গা ব্রিজের আশেপাশে ময়লা আবর্জনার পরিষ্কার করা হয়। ট্রাক টার্মিনালের নির্ধারণ স্থানে গর্ত থাকায় ময়লা আবর্জনা দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। ময়লাগুলো হাজরাহাটি-শিয়ালমারী গ্রামের মাঝামাঝি উপযুক্তস্থানে ফেলা হচ্ছে। যেন কারোর কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। তিনি আরও বলেন, যেখানে ময়লা আবর্জনা আছে আমরা শিগগিরই তা অপসারণ করবো। ব্যক্তিগত জমিতে ময়লা আবর্জনার না ফেলে পৌরসভার গাড়ি যায় তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা নিয়ে আসে। এরপরও ব্যক্তিগত স্থানে স্তুপ করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে ব্যক্তিগত জমিতে ময়লা আবর্জনার বিষয়টি উপস্থাপন করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

Comments (0)
Add Comment