চুয়াডাঙ্গা সদর ইউএনও’র মোবাইল নম্বর ক্লোন করে প্রতারণা : ৯ হাজার টাকা খোয়ালেন প্রধান শিক্ষক

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দাপ্তরিক মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া। এরআগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার কোটালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এক প্রতারক। প্রতারণার শিকার কোটালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাফুজুল হক মিন্টু জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দাফতরিক মুঠোফোন নম্বর (০১৭১৮৬৪০৭২৫) থেকে আমার নম্বরে ফোন করেন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি নিজেকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি বলেন, কোটালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলছেন। আমি সদরের ইউএনও। নতুন এসেছি। আপনার বিদ্যালয়ে কি ল্যাপটপ আছে? কোনো ল্যাপটপ নেই জানালে তিনি বলেন, ডিসি অফিসে ৩টা ল্যাপটপ এসেছে। আপনার বিদ্যালয়ে ১টি দেয়া হবে। তবে, যাতায়াত খরচ বাবদ ৯ হাজার টাকা দিতে হবে। সভাপতির সাথে আলোচনা না করে আমি টাকা দিতে পারবো না জানালে তিনি বলেন, সভাপতির সাথে আলাপ করে জানান। ওই শিক্ষক আরও জানান, বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের সভাপতিকে জানালে তিনি টাকা দিতে বলেন। তখন ওই ব্যক্তিকে ফোন দিলে তিনি একটি নম্বর দিয়ে বলেন, ০১৮৫৩ ৫৭১২৯১ এটা ডিসি অফিসের অফিসিয়াল নগদ নাম্বার। এই নম্বরে ৯ হাজার টাকা পাঠান। কোটালি গ্রামে নগদের কোনো এজেন্ট না থাকায় পার্শ্ববর্তী হরিশপুর গ্রামের বাজারে গিয়ে এই নগদ অ্যাকাউন্ট নম্বরে ৯ হাজার টাকা দেয়া হয়। পরে ওই ব্যক্তি আবারও ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেন, আপনার বিদ্যালয় সব শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে কি না? এই প্রশ্ন করলে বিষয়টি আমার সন্দেহ হয়। তখন আমি সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারি। সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ কুমার সাহা জানান, কোটালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ল্যাপটপ বাবদ ৯ হাজার টাকা নেয়ার বিষয়টি জানান। পরে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে নিশ্চিত হন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারি। পরে ওই প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হই। তখনই ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ওই ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকাতে বলি। ওই ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন পিপিএম বার জানান, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রতারককে আটক করতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।

Comments (0)
Add Comment