চেক জালিয়াতির অভিযোগে ধামাকার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় পৃথক মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় চেক জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আলমডাঙ্গা উপজেলার বলিয়ারপুর গ্রামের ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ হক এ মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন ঢাকার ধানমন্ডি কাঠাল বাগান এলাকার আব্দুল হক মাতব্বরের ছেলে ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের এজিএম আমিনুর হোসেন ও ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের ডিরেক্টর অপারেশন রমনা ২৮ ইস্কাটন রোডের জিয়াউদ্দিন আহমেদের ছেলে সাফওয়ান আহমেদ।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল জানান, অর্থ আত্মসাৎ ও চেক জালিয়াতির অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকার এজিএম ও ডিরেক্টর অপারেশনসের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছেন ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ হক। মামলা দুটি আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৩০ জুন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ হকের কাছ থেকে ৭ লাখ ৪ হাজার ১৪০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য কেনেন। টাকা পরিশোধের চেকও দেয় প্রতিষ্ঠানটি। পরে ব্র্যাক ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা শাখায় টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে ওই অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই বলে জানতে পারেন আব্দুল্লাহ। একই বছরের ১ জুলাই একটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য ওই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেন আব্দুল্লাহ। পরে মোটরসাইকেল দিতে না পেরে আবারও সমপরিমাণ টাকার একটি চেক দেয় প্রতিষ্ঠানটি। আবারও টাকা উত্তোলন করতে অ্যাকাউন্টে টাকা নেই বলে জানান ব্যাংক কর্মকর্তারা।
প্রতারণার শিকার ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ হক বলেন, প্রতারিত হওয়ার পর গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির দুই কর্মকর্তার কাছে আইনজীবীর মাধ্যমে উকিল নোটিশ পাঠান। পরে চেষ্টা করেও ধামাকার কোনো কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি তারা পলাতক রয়েছেন। এক প্রকার বাধ্য হয়েই মামলা দায়ের করেছি।
তিনি আরও জানান, সব মিলিয়ে আমার কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা। আমি মানুষের কাছে টাকা ধার নিয়ে ব্যবসা চালু করেছিলাম। এখন টাকা পরিশোধ করবো কিভাবে? আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি।

Comments (0)
Add Comment