জীবননগরে রাস্তার পাশের সেই ময়লার স্তূপ অপসারণের ব্যবস্থা করলেন পৌর কর্তৃপক্ষ

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর-দত্তনগর সড়ক ঘেঁষে প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে ময়লা আবর্জনা অপসারণের ব্যবস্থা করল জীবননগর পৌর কর্তৃপক্ষ। জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক সৈয়দজাদী মাহবুবা মঞ্জুর মৌনার নির্দেশে গতকাল বুধবার সকাল থেকে জীবননগর পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ভেকু দিয়ে আবর্জনা অপসারণের কাজ শুরু করেন। ময়লার স্তুপের দুর্গন্ধে জন দুর্ভোগ নিয়ে ১ জুলাই দৈনিক মাথাভাঙ্গাসহ স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদগুলো জীবননগর পৌর কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এরপর পৌর প্রশাসকের নির্দেশে বুধবার বেলা ১১টা থেকে ভেকু গাড়ির সাহায্যে ময়লা অপসারণ করা হয়। সেই সাথে ওই স্থানে আর ময়লা আবর্জনা না ফেলারও নির্দেশ দেয়া হয়। এ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পৌরবাসী ও পথচারিরা। ময়লার ভাগাড়টি অপসারিত হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম বলেন, রাস্তার পাশ থেকে আবর্জনাগুলো সরিয়ে ফেলায় আমরা পৌর প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞ। আশা করি পরিচ্ছন্নতার এই ধারা অব্যাহত থাকবে। পথচারী আফজাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এ রাস্তায় ময়লার স্তূপ থাকার কারণে চলাচলে অনেক অসুবিধা হতো। অবশেষে পৌর কতৃপক্ষের পদক্ষেপে মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ডালিম হোসেন বলেন, কতৃপক্ষের নির্দেশে আমরা সকাল থেকে দীর্ঘদিনের জমে থাকা আবর্জনা পরিস্কার করছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পরো এলাকা পরিচ্ছন্ন করা হবে। জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক সৈয়দজাদী মাহবুবা মঞ্জুর মৌনা গণমাধ্যমের ভুমিকার প্রশংসা করে বলেন, দত্তনগর সড়কে ময়লার দুর্গন্ধ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এরপরই রাস্তার পাশের ময়লা আবর্জনা অপসারণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই স্থানে আর কোনো বর্জ্য না ফেলার বিষয়ে সবাইকে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, জীবননগর পৌরসভার নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন না থাকার কারনে শহরের প্রতিদিনের ময়লা আবর্জনা ফেলা হতো দত্তনগর সড়কের পাশে। ফলে এটি একটি ময়লা ফেলার স্থায়ী ভাগাড়ে পরিনত হয়েছিল। ময়লার তীব্র দুর্গন্ধে ছাত্র-ছাত্রী, স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা ওই রাস্তায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতেন। এছাড়া ওই এলাকার পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছিলো। এরপর গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে পৌর কতৃপক্ষ জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।