স্টাফ রিপোর্টার: গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহ কিছুটা কমেছে। গতকাল বুধবার দেশের ২৫ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও। গতকাল বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যৌতভাবে রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী, ঈশ্বরদী, রংপুর ও ডিমলায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাঙ্গামাটিতে। রাজশাহী বিভাগ ছাড়া মোটামুটি দেশের সব বিভাগেই বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস বলছে, বাতাসের আর্দ্রতা বেশি হওয়ায় গরমের অনুভূতি বেড়ে যাচ্ছে। অল্পতেই হাপিয়ে উঠছে শ্রমজীবী মানুষ। জেলাজুড়ে ভ্যাপসা গরমের কারণে খেটে খাওয়া মানুষেরা বিপাকে পড়েছে। শ্রমজীবীরা বলছেন, গরমের কারণে তাদের পেশাগত কাজে প্রভাব পড়ছে। রিকসা চালক, ভ্যান চালকরা গরম উপেক্ষা করে বাইরে এলেও প্রয়োজনীয় যাত্রী পাচ্ছেন না। এতে তাদের স্বাভাবিক আয় কমে আসছে। সাধারণ মানুষ বলছে, গরমের তীব্রতার সাথে পাল্লা দিয়েছে লোডশেডিং। দিনে-রাতে পাল্লা দিয়ে আসা-যাওয়া করছে বিদ্যুৎ। এতে সাধারণ জনজীবনে ভোগান্তি নেমে আসছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস বলছে, আরও দু’একদিন গরমের তীব্রতা থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে বৃষ্টি। আজ রাতে রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক। গত মঙ্গলবার দেশের ৪৯ জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। বুধবার সেখানে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে ২৫ জেলায়। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ বাদ দিয়ে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সর্বত্র এবং টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফেনী, বাগেরহাট, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানান ওমর ফারুক। তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকলে, তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে, তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৪২-এর বেশি হলে, তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে গণ্য হয়। গত মঙ্গলবার ও এর আগের দিন দেশের কিছু কিছু এলাকায় মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। বুধবার তাপমাত্রা এতোটা বাড়েনি কোথাও। এর মধ্যে বৃষ্টিও শুরু হয়েছে কিছু এলাকায়। গত মঙ্গলবার রাজধানীতে রাত ৯টার পর বৃষ্টি শুরু হয়। এ ছাড়া নোয়াখালী, নরসিংদী, টাঙ্গাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কিছু এলাকায় বৃষ্টি হয়।