কালীগঞ্জে কুপিয়ে খূনের ৮ ঘন্টার মাথায় গ্রেফতার মূণ আসামি

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ


ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের দৌলতপুর গ্রামে শুক্রবার রাতে আমিরুল ইসলাম (৪৬) নামের এক নিরীহ ব্যক্তিকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যাকারী শাহিনুর মন্ডলও পুলিশের রাতভর অভিযানের ৮ ঘন্টা পর ধরা পড়েছে। শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে আমিরুল ইসলামকে প্রকাশ্যে নির্মম ভাবে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ওই গ্রামের ছামছুল মন্ডলের ছেলে শাহিন। ছাগল বিক্রির পাওনা ৩০০ টাকা দ্বন্দের জের ধরে কৃষক আমিরুল ইসলাম বিশ্বাস কে কুপিয়ে হত্যার প্রধান আসামি শাহিন মন্ডল ওরফে জাম্বু (৩৬) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতেই নিহতের স্ত্রী রমেচা বেগম বাদি হয়ে শাহিনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করে। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই উপজেলার খেদাপাড়া গ্রামের একটি নির্মাণাধীন স্কুলের মধ্যে থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় হত্যাকাজে ব্যবহৃত একটি হাসুয়া দা উদ্ধার করা হয়
পরে কালীগঞ্জ হাসপাতালে নেয়ার পথে আমিরুল ইসলাম মারা যায়। এর পরেই কালীগঞ্জ থানার পুলিশ শাহিনকে ধরার জন্য তৎপর হয়ে উঠে, শুরু করে অভিযান। রাতভর পুলিশের অভিযান শেষে ভোর ৪ টার দিকে কোলা ইউনিয়নের খেদাপাড়া চুকাইতলা গ্রামের নির্মাণাধীন একটি স্কুল ভবনের মধ্য থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছে হত্যায় ব্যবহৃত রক্ত মাখা গাছিদা-ও ছিল। কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহাঃ মাহাফুজুর রহমান মিয়া জানান, তুচ্ছ ঘটনায় উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে আমিরুল ইসলামকে হত্যার খবর পেয়েই তিনি উপজেলার সকল পুলিশ ক্যাম্পসহ থানা পুলিশের সকল সদস্যকে কাজে লাগান। হত্যাকারী সন্ত্রাসী শাহিন যেন পালাতে না পারে সে জন্য রাতেই আশপাশের কয়েকটি গ্রামে বসানো হয় পুলিশের তল্লাশী চৌকিদার। সাথে সাথে তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে নিজেই অভিযানে নামেন। রাতঘর অভিযানের পর কালীগঞ্জ মাগুরার শালিখা উপজেলার সীমান্তবর্তী ও কোলা ইউনিয়নের খেদাপাড়া চুকাইতলা নির্মাণাধীন একটি স্কুল ভবনের মধ্য থেকে তাকে ভোর ৪ টার দিকে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা গাছিদাসহ হত্যার ৮ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, পালানোর জন্যই শাহিন জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু রাতভর পুলিশের তৎপরতায় তা আর হয়ে উঠেনি। তাকে গ্রেফতারকরতে উপজেলার সকল পুলিশ সদস্যকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে বলে যোগ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। কালীগঞ্জ থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মুহাঃ মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, কয়েকদিন আগে দৌলতপুর গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে শাহিনের নিকট থেকে একটি ছাগল ক্রয় করে নিহত আমিরুল ইসলামের ফুপাতো বোন জামায় বিশারত আলী। এ নিয়ে ২ দিন আগে ক্রেতা বিশারত ও বিক্রেতা শাহিন হোসেনের মাঝে বাক-বিতন্ডা হয়। বিষয়টি ওইদিন আমিরুল ইসলাম মিটিয়ে দেয়।থেকে একটি ছাগল ক্রয় করে নিহত আমিরুল ইসলামের ফুপাতো বোন জামায় বিশারত আলী। এ নিয়ে ২ দিন আগে ক্রেতা বিশারত ও বিক্রেতা শাহিন হোসেনের মাঝে বাক-বিতন্ডা হয়। বিষয়টি ওইদিন আমিরুল ইসলাম মিটিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, হত্যাকারী শাহিন এলাকায় বিভিন্ন জিনিস চুরির সাথে জড়িত বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। কয়েকদিন আগে নিহত আমিরুলের দুলা ভাইয়ের কাছে একটি ছাগল বিক্রি করে ৭ হাজার ৩,শ টাকায়, মাত্র ৩,টাকা বকেয়া ছিল। শুক্রবার সকালে ওই ছাগলের জন্য তিনশো টাকা দাবি করলে তার দাবি অবাস্তব বলে আমিরুল টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রাতে গ্রামের মধ্যের রাস্তায় একা পেয়ে আমিরুলকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে শাহিন।

Comments (0)
Add Comment