স্টাফ রিপোটার: সম্প্রতি কেরুজ ডিস্টিলারি বিভাগে উৎপাদিত বাংলামদ বোতলজাতকরণে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান। খানেকটা তড়িঘড়ি করে কোনো কিছু তোয়াক্কা না করেই বোতলজাতকরণ কার্যক্রম শুরু করেন। এরই মধ্যে প্রায় সবকটি হাউজেই বোতলজাতকৃত বাংলামদ সরবরাহ করা হলেও বিক্রি কতটা হয়েছে তা নিশ্চিত জানা যায়নি। মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সাথে অনেকটাই বৈরী আচরণ করে এ কার্যক্রম চালানো হয় বলে রাব্বিক হাসানের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ। ১৯৩৮ সালে কেরুজ চিনিকল ও ডিস্টিলারি বিভাগ প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই সারাদেশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সম্পদ/ভবনে বন্ডেড ওয়্যার হাউজগুলোর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিলো। জানা গেছে, সারাদেশে কেরুজ ১৩টি বন্ডেড ওয়্যার হাউজ রয়েছে। শুধুমাত্র দর্শনা বন্ডেড ওয়্যার হাউজ কেরুজ নিজস্ব সম্পত্তিতে। এছাড়া যশোর, খুলনা, পাবনা, পার্বতিপুর, শান্তাহার, ঢাকা, কুমিল্লা, শ্রীমঙ্গল, চট্রগ্রাম, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও বরিশাল বন্ডেড ওয়্যার হাউজের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিজস্ব ভবনে। গত ১৯ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ হাবীব তৌহিদ ইমাম স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পণ্যাগার ব্যবহারের জন্য কেরুজ অ্যান্ড কোম্পানী বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত হারে ভাড়া আদায়ের লক্ষ্যে পণ্যাগারের আয়তন অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। এ ঘটনায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে কেরুজ এলাকায়। অনেকেই মন্তব্য করে বলেছেন, কেরুজ কমপ্লেক্সের চিনি কারখানাসহ প্রতিটি বিভাগেই প্রতি অর্থ বছরে মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হয়। ডিস্টিলারি বিভাগের মুনাফা অর্জন থেকে সকল লোকসান পুষিয়েও সরকারকে শ শ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে থাকে। মিলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসানের অদুরদর্শিতা, অদক্ষতা, কোন কিছু তোয়াক্কা না করে খেয়াল খুশি মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ, শ্রমিক-কর্মচারীদের সাথে দূরত্ব সৃষ্টির কারণে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে হয়তো স্মরণকালের রেকর্ড ভঙ্গ হতে পারে ডিস্টিলারি বিভাগের মুনাফা অর্জন কমের ক্ষেত্রে। ওই অর্থ বছরে আগের বছরের তুলনায় ৩২ হাজার কেস ফরেণ লিকার কম উৎপাদন ও বিক্রি হয়েছে। তথ্যনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ফরেণ লিকার বিক্রি হয়েছিলো ২ লাখ ৩২ হাজার কেচ, স্পিরিট উৎপাদন ও বিক্রি হয়েছিলো ৬০ লাখ ২৮ হাজার প্রুফ লিটার। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ফরেণ লিকার বিক্রি হয়েছে ২ লাখ এবং স্পিরিট উৎপাদন ও বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪৬ লাখ প্রুপ লিটার। ফলে গত অর্থ বছরের তুলনায় এবার বহুগুণে কম উৎপাদন ও বিক্রিতেও মুনাফা অঙ্ক কমবে প্রচুর টাকা। কেরুজ কমপ্লেক্স রক্ষার্থে দ্রুত যোগ্য ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদায়নের দাবি উঠেছে এ মিলে।