দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি হামলা : ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত ৬

চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুরে জমিজমা নিয়ে মুখোমুখি দুপক্ষ : উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের ভালাইপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুপক্ষের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই নারীকে পিটিয়ে এবং চারজনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভালাইপুর গ্রামের হুচুকপাড়ায় এঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর পুরো এলাকা থমথমে বিরাজ করছে। আতঙ্কে রয়েছেন উভয়পক্ষের লোকজন। প্রথমপক্ষের আহতরা হলেন, হুচুকপাড়ার তুলা হোসেনের স্ত্রী ওজিলা খাতুন (৬০), তিন ছেলে ইকবাল হোসেন (৩০), হালিম হোসেন (৪০), ডালিম হোসেন (৩৫) এবং ইকবালের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন। দ্বিতীয়পক্ষের আহত ব্যক্তি একই এলাকার মৃত খেদমত ম-লের ছেলে ইয়াসিন আলী (৪৫)।

স্থানীয়রা জানায়, কয়েকবছর আগে মৃত খেদমতের থেকে তার বোন ওজিলা খাতুন কিছু জমি ক্রয় করেন। সেই সময় কোন কারনে জমি নিজ নামে রেজিস্ট্রি করেননি ওজিলা খাতুন। এরপর থেকেই জমি দখলে নেই ওজিলা। জমি রেজিস্ট্রি না করায় মৃত খেদমত আলীর ছেলে ইয়াসিন আলী ও গফুর আলী জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে আসছেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।

এ নিয়ে গত সোমবার রাতে সুমাইয়াকে মারধর করে প্রতিপক্ষ। রাতেই তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে বৃদ্ধা ওজিলা খাতুনকেও বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে ইয়াসিনসহ তার সহযোগিরা।

খবর পেয়ে ওজিলা খাতুনের তিন ছেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে উভয়পক্ষের লোকজন রামদা, শাবল, রড নিয়ে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ধারালো অস্ত্রের কোপে দুপক্ষের চারজন গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

এদিকে এঘটনার পর পুরো এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে। সংঘর্ষের ঘটনার পর উভয়পক্ষের লোকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুর রহমান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, চারজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপের জখম হয়েছে। এর মধ্যে ইয়াসিনের আবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করে ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন রেফার করবেন কি-না।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মাহব্বুর রহমান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে মারামারির ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে গতকাল দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত ইয়াসিনকে নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্য চুয়াডাঙ্গা ত্যাগ করেছেন।

Comments (0)
Add Comment