দর্শনায় শুরু হয়নি ভ্রমণ ভিসা : ভ্রমণ করছেন মেডিক্যাল বিজনেস স্টুডেন্ট ভিসার যাত্রীরা

দর্শনা অফিস: দেশে ওমিক্রনের কোনো প্রভাব পড়েনি দর্শনা তথা চুয়াডাঙ্গায়। যে কারণে দর্শনা জয়নগর সীমান্ত পথে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতকারী যাত্রীদের চলাচল রয়েছে স্বাভাবিক। তিন ধরনের ভিসাপ্রাপ্ত পাসপোর্টধারী যাত্রীরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর দর্শনা জয়নগর সীমান্ত পথ দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ চলাচল করতে পারছে বিধি-নিষেধ মেনে। তবে এখনও ভ্রমণ ভিসা যেমন দিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে, তেমনি এ রুটে যাতায়াত শুরুও হয়নি ভ্রমণ ভিসার যাত্রীদের। প্রায় দেড় বছর পর চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টসহ বেনাপোল, আখাউড়া, বুড়িমারি, হিলি ও সোনা মসজিদ চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী মেডিকেল ও বিজনেস ভিসাযাত্রীদের ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত কার্যক্রম শুরু হয়। এদিকে গত ৭ ডিসেম্বর থেকে দর্শনা জয়নগর সীমান্ত পথে নতুন করে আর কোনো ভিসা দেয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে। দর্শনা ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই আব্দুল আলীম জানান, বর্তমানে সকল রুটের মেডিক্যাল ও বিজনেস ভিসাধারীরা এ পথে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতের সুবিধা পাচ্ছে। তবে ৭ ডিসেম্বরের পর থেকে যাদের ভিসায় বাই রোড গেঁেদ-দর্শনা উল্লেখ থাকবে শুধু তারাই যাওয়া-আসা করতে পারবেন দুদেশে। দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারতে ভ্রমণকারীদের বৈধ পাসপোর্ট ভিসার পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআর ল্যাবের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট প্রযোজ্য। ভারত থেকে যারা দেশে ফিরছেন তাদেরও ভারতের যেকোনো অনুমোদিত পিসিআর ল্যাবের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআর ল্যাবের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এছাড়াও ভারত ফেরত যাত্রীদের দর্শনা বন্দরে মেডিক্যাল বুথে হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে বন্দরে করোনার র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্টও করা হয়ে থাকে। সপ্তাহের প্রতিদিনই সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ পথে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা চলাচল করতে পারছেন ৫শ টাকা ট্যাভেল ট্যাক্স দিয়ে। বর্তমানে দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টেই অনলাইনে ট্রাভেল ট্যাক্স নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দর্শনার বিপরীতে মাত্র ৮শ মিটার রাস্তা পাড়ি দিলেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গেদে রেলস্টেশন। স্টেশনের সাথেই ভারতীয় ইমিগ্রেশন-কাস্টমস অফিস। এখানে ইমিগ্রেশন-কাস্টমস সম্পন্ন করে সেখান থেকে মাত্র ৩৫ টাকায় ট্রেনের টিকেট কেটে কোলকাতা ও শিয়ালদহে যাওয়ার সুবিধা রয়েছে। গেদে স্টেশন থেকে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায় ১৮ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন। বিদ্যুত চালিত এ ট্রেনে কলকাতা পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র আড়াই ঘণ্টা। করোনায় প্রায় দেড় বছরের অধিককাল বন্ধ ছিলো এ বন্দর দিয়ে পাসপোর্টধারীদের চলাচল। চলতি বছরের গত ১৭ মে থেকে করোনাকালীন সময় ভারত আটকে যাওয়া যাত্রীরা দেশে আসা শুরু করে। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া শুরু হয়। গতকাল রোববার দর্শনা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত আসা-যাওয়া করেছেন মোট ৭৫৩ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী। এদের মধ্যে ভারতে গেছেন ৩৬৭, আর ভারত থেকে এসেছেন ৩৮৬ জন।

 

Comments (0)
Add Comment