দর্শনা থানার এসআই নীতিশের বিরুদ্ধে রিকলের বিনিময়ে অর্থবানিজ্যের অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: দর্শনা থানার এসআই নীতিশের বিরুদ্ধে রিকলের বিনিময়ে অর্থবানিজ্যের গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে। তিনি ভয়ভীতি দেখিয়ে জামিন প্রাপ্ত আসামির নিকট থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা হাতিয়ে নেন। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। অভিযোগে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের সিপাতের ছেলে রহিম ও তার দুলাভায়ের বিরুদ্ধে গত ৫ জুলাই আদালতে অপহরণ মামলা করেন তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটশলুয়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ার সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী রংমালা। যার মামলা নং জি আর ১৫১/২২। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দর্শনা থানার এসআই নীতিশ বিশ্বাস। গত ১৮ জুলাই রহিম ও তার দুলাভাই আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এ মামলা ৩১ জুলাই আসামিরা আদালত থেকে জামিন পান। জামিন পাওয়ার পর থেকে টাকার দাবিতে এসআই নিতীশ একাধিকবার ফোন করে জামিন প্রাপ্ত রহিমসহ তার চাচাতো ভাই ইউপি সদস্য আক্কাছ আলীর নিকট। ৯ সেপ্টেম্বর রহিম দর্শনা থানায় এসে এসআই নীতিশের নিকট জামিনের রিকল জমা দিতে আসেন। রহিম অভিযোগ করে বলেন, এ সময় এসআই নীতিশ তার নিকট ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখায় এসআই নীতিশ। টাকা না পেয়ে রহিমকে থানার সামনে ঘণ্টা খানিক বসিয়ে রাখেন। শেষমেশ কোন উপায়অন্ত না পেয়ে ২ হাজার ৫শ’ টাকার বিনিময়ে রিকল জমা দিয়ে বাড়ি ফেরে রহিম। বেগমপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আক্কাস আলী বলেন, রহিম আমার চাচাতো ভাই। মামলার পর তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নিতীশ বিশ্বাস আসামি গ্রেফতার করবে না বলে ৩০ হাজার টাকা দাবি করলে দু দফায় ৯ হাজার টাকা দিয়েছি। রহিমের জামিনের পর থেকে এসআই নিতীশ বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোনে আমারসহ রহিমের কাছে ২০ হজার টাকা দাবি করে আসছে। জামিনের রিকল জমা দিতে গেলে ২ হাজার ৫শ’ টাকা হাতিয়ে নেয় নীতিশ। এ ব্যাপারে এসআই নিতীশ বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উত্থাপিত অভিযোগ সঠিক নয়। দর্শনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) এএইসএম লুৎফুল কবির বলেন, জামিনের রিকল জমা দিতে থানায় কোন টাকা লাগে না। যদি কেউ নিয়ে থাকে ব্যবস্থা নেব। এ ব্যপারে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, জামিনের রিকল থানায় জমা দিতে কোন টাকা লাগে না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments (1)
Add Comment
  • Asamul

    সঠিক বিচার করা হোক… নয়তো আইনের লোক এ রকম করলে সাধারণ জনগণ কোথায় আশ্রায় নিবে পুলিশ ই প্রকাশ্য চাদাবাজ হয়ে যাচ্ছে।