দলের স্বার্থে ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান শরীফের

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে এক কুশল বিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় আইলহাস লক্ষ্মীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ কুশল বিনিময়সভার আয়োজন করে আইলহাস ইউনিয়ন বিএনপি। সভায় সভাপতিত্ব করেন আইলহাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘বিএনপি কখনোই সুবিধাবাদী রাজনীতির আশ্রয় নেয়নি। আমরা সেই কঠিন সময় অতিক্রম করে এসেছি, যখন বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে ৩০ মিনিটও কোনো স্থানে দাঁড়িয়ে সভা বা মতবিনিময় করা যেত না। রাজনৈতিক নিপীড়ন, হামলা-মামলা, গ্রেফতার আর হুলিয়ার ভয়ে নেতাকর্মীরা কোথাও প্রকাশ্যে সভা করার সাহস পেতেন না। কিন্তু তৃণমূলের সাহসী কর্মীরাই সেই কঠিন সময়ে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন, রাজপথ ছাড়েননি, গঠন করেছেন ওয়ার্ড কমিটি, রক্ষা করেছেন দলের কাঠামো।’ তিনি বলেন, ‘আজ যখন আমরা একটু সংগঠিত হচ্ছি, কিছু মানুষ দলীয় পরিচয়ের সুযোগে নিজেদের পক্ষে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই-আমরা এখনো ক্ষমতায় আসিনি। এখনো আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন-এই নির্বাচন হবে অত্যন্ত কঠিন। দলকে সংগঠিত করে নির্ভীকভাবে মাঠে থাকতে হবে। কেউ যদি এখনই সুবিধা নিতে দলীয় নাম ব্যবহার করে অবৈধ পথে কোনো সুযোগ নেন, তাহলে সেটি হবে দলের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। আমাদের রাজপথে থেকে যে ত্যাগ, সেই ত্যাগ যেন বৃথা না যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘দলীয় স্বার্থে যেকোনো চিন্তা, যেকোনো উদ্যোগ স্বাগত। নির্বাচনী পরিকল্পনা বা পরামর্শ থাকলে আমি ব্যক্তিগতভাবে শুনতে প্রস্তুত। তৃণমূলের প্রত্যেক নেতাকর্মী আমাদের মূল শক্তি। দলকে ভালোবেসে যারা নিবেদিতভাবে কাজ করবেন, তাদের মূল্যায়ন অবশ্যই হবে।’ চাঁদাবাজি বা দখলবাজির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি জানিয়ে শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘দলের কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যদি চাঁদাবাজি, দখলবাজি বা জনদুর্ভোগ তৈরির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিএনপির মধ্যে কোনো চাঁদাবাজির ঠাঁই নেই। চাঁদাবাজির একমাত্র স্থান হবে জেলখানা।’ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আখতার হোসেন জোয়ার্দার, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আজিজুর রহমান পিন্টু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমান ওল্টু এবং জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন। আইলহাস ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমুল হাবিব সেলিম, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মীর উজ্জ্বল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ইমরান হোসেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা ও টগর, আলমডাঙ্গা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক লিমন ও সোহেল রানা।

এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন আইলহাস ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. আবু তালেব, যুগ্ম সম্পাদক আজিজ আহমেদ সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক হানিফ উদ্দিন মেম্বার, সাইফুল ইসলাম, মনিরউদ্দিন মনি, সহিদুল ইসলাম গাডু, ছাত্রদলের সভাপতি সুজন ও সাধারণ সম্পাদক আশিকসহ বেলগাছি, ডাইকী ও নাগদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ এবং বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।