দামুড়হুদার আলোচিত কুতুব কাজী অবশেষে শ্রী-ঘরে

দামুড়হুদা অফিস: অবশেষে দামুড়হুদার বহুল আলোচিত কুতুব উদ্দিন কাজীর কেরামতি বিজ্ঞ আদালতে ধরা পড়েছে। বিজ্ঞ আদালত কাজী ও মামলার ১নং আসামি সাবিনা খাতুনকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।

মামলার বাদির এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত দু’বছর আগে দামুড়হুদা মাদরাসাপাড়ার আ. আজিজের ছেলে সাদ্দাম হোসেনের সাথে দশ হাজার ১ টাকা (পরিশোধযোগ্য) দেনমোহরে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের উজিরপুর গ্রামের আ. মজিদের মেয়ে সবিনা খাতুনের সাথে। দাম্পত্য কলহে দেড় বছরের মাথায় তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সাবিনা খাতুন বাদি হয়ে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সাথে ত্রিশ হাজার টাকা দেনমোহরে তাদের বিবাহ হয়েছে এই মর্মে কুতুব কাজী একটি ভূয়া কাবিননামা প্রদান করে। এই কাবিননামাটি সঠিক নয় মর্মে সাদ্দাম হোসেন বাদি হয়ে কুতুব কাজীর দেয়া দশ হাজার ১ টাকা দেনমোহর (পরিশোধযোগ্য) কাবিননামা আদালতে জমা দিয়ে সাবিনা খাতুনকে ১নং আসামি ও কুতুব উদ্দিন কাজীকে ৫নং আসামি করে ৫ জনের নামে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে মামলার শুনানির দিন ধায্য ছিলো। দু’পক্ষের শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত মেয়ে পক্ষের দায়ের করা কাবিনটি ভূয়া প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত সাবিনা খাতুন ও  কুতুব উদ্দিন কাজীর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। গতকালই তাদেরকে জেলহাজতে নেয়া হয়েছে।

দামুড়হুদা উপজেলার নাপিতখালি গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে গোবিন্দহুদা হাই স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষকতার পাশাপাশি দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্টারের দায়িত্ব পান কুতুব উদ্দিন কাজী। এরপর তাকে আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি। ধরাকে সরাজ্ঞান করে বিভিন্ন কেরামতি দেখিয়ে বাল্যবিয়ে, তালাকসহ বিভিন্ন অনিয়ম করতে থাকেন। দামুড়হুদা উপজেলা সদরের গুলশানপাড়ায় জমি-বাড়ি, মাঠে জমি ক্রয় করেন। এর আগে বেশ কয়েকবার জেল ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানাও গুনতে হয়েছে তাকে। এরপরেও থেমে থাকেনি কুতুব উদ্দিন কাজীর কেরামতি। এলাকাবাসীর দাবী, তার নিকাহ্ রেজিস্টারের লাইসেন্সটি বাতিল করা হোক।

দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা লোকমোর্চার সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, কাজী কুতুব উদ্দিনের বিরুদ্ধে আগেও এ ধরনের একাধিক অভিযোগ শুনেছি। তার শাস্তিসহ নিকাহ্ রেজিস্টার বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে।

বাদি পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাড. রুবিনা পারভীন ও আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাড. এনামুল হক। সাদ্দাম হোসেন ২০২০ সালের আগস্ট মাসে বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

Comments (0)
Add Comment