দর্শনা অফিস: দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত সেই কথিত সেকেন্ড চেয়ারম্যান মোশাররফের বিরুদ্ধে এবার নারী গ্রাম পুলিশকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে। নারী গ্রাম পুলিশের লিখিত অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখবেন ইউএনও। বিচারের দাবিতে লাঞ্ছিতের শিকার খোদেজা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হচ্ছিলো কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক পণ্য গ্রহিতাদের ভিড় সামলাতে দায়িত্বে ছিলেন ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশরা। খোদেজার অভিযোগ দায়িত্ব পালনকালে গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মোশাররফ হোসেন নির্দেশমূলক কথাবার্তাসহ অসদাচরণ করেন। প্রতিবাদ করায় খোদেজাকে লাঞ্ছিতের স্বীকার হতে হয় মোশাররফের হাতে। খোদেজার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে মোশাররফ ইউনিয়ন পরিষদের সকল কর্মকান্ডে সবাইকে নানাভাবে হেনস্থা করে আসছেন। বহিরাগত হয়েও তিনি সকল বিষয়ে মাতব্বরি করে থাকেন। নিজের বাড়ি মনে করেন পরিষদকে। মোশাররফের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে নালিশ করবেন বলেও জানান। আভিযুক্ত মোশাররফ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বিকার করে জানান, তিনি নাকী চেয়ারম্যানের দুপুরের খাবার নিয়ে গিয়েছিলেন। পরিষদের দফাদার মজিবর রহমান জানান, ঘটনার সময় আমি ছিলাম আমাদের গ্রাম পুলিশ খোদেজাকে মোশাররফ ঠ্যালা-ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শামীম রেজা’ বলেন, মোশাররফ অফিসেও বসেছিলেন। তবে বাহিরে মারামারির ঘটনা দেখিনি। এ বিষয়ে জানার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীনের মোবাইলফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথি মিত্র বলেন, আমি মৌখিক ভাবে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।