দামুড়হুদার রামনাগরে ঘুমের মধ্যে আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুশয্যায় শিশু আরিশা : সহযোগিতার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার রামনাগরে আগুনে দগ্ধ হয়ে আরিশা নামের পাচ বছর বয়সী এক শিশুকন্যা গুরুতর আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরিশাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে নেয়ার পরামর্শ দেন। গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশু আরিশা রামনাগর গ্রামের রাজমিস্ত্রী কলমের মেয়ে। দিনমজুর বাবা পক্ষে মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কোন সামর্থ্য না থাকায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশু আরিশার শরীর ৪০-৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। সে শঙ্কামুক্ত নয়। তবে গতকাল বিকেলে স্থানীয় সংবাদকর্মী ও অনেকের সহযোগিতায় শিশু আরিশাকে নিয়ে তার পরিবারের সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে নিয়ে যান। শিশু আরিশার দাদি দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, পাশের পাটখড়ি থেকে লাগা আগুন থেকে শয়নকক্ষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় শিশু আরিশা ও তার মা ঘুমাচ্ছিল। টের পেলে তাড়াতাড়ি করে মা বের হয়ে এলে মেয়ের কথা মনে ছিল না। পরে আগুনের উত্তাপ ছড়ালে স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ঘটনাস্থলে পৌছে দগ্ধ অবস্থায় শিশু আরিশাকে ভেজা কাপড় দিয়ে উদ্ধার করা হয়। এরপর দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আরিশাকে। তিনি আরও বলেন, ছেলে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। বেশ কিছুদিন আগে বিদেশে যাওয়ার কথা বলে অনেক টাকা খোয়া গেছে। দিন আনে দিন খায়। এই মুহূর্তে রাজমিস্ত্রী বাবার পক্ষে মেয়েকে চিকিৎসা তো দূরের কথা ঢাকা কিংবা রাজশাহী নেয়ার গাড়ি ভাড়া নেই। শিশুটির বাবা কলম আলী দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আমি খুব অসহায়। রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। ডাক্তার বলেছে মেয়ের অবস্থা ভালো না। উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যেতে। সে সময় আমার নিকট টাকা ছিল না। পরে স্থানীয় সংবাদকর্মী ও হাসপাতালে থাকা কিছু লোকজন এবং আমার আত্মীয় স্বজনদের সহযোগিতায় অ্যাম্বুলেন্সযোগে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে যায়। পরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তায় এক ভাই ঢাকায় নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া দেন। রাতেই রাজশাহীর যাত্রা বাতিল করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, আমি অত্যান্ত দারিদ্র। মেয়ের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তশালীদের পাশে থাকার অনুরোধ করেন তিনি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আফরিনা ইসলাম দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, শিশুটির শরীরের প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়ে। তবে শিশুটি শঙ্কামুক্ত নয়।