দামুড়হুদায় আষাঢ়-শ্রাবণের বৃষ্টিতে রোপা আমন রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা

হাসমত আলী: শুরু হয়েছে রোপা আমন ধান রোপণের মরসুম। গ্রাম বাংলার চিরচেনা দৃশ্যে এখন মাঠজুড়ে দেখা যাচ্ছে কৃষকদের কর্মব্যস্ততা। আষাঢ়-শ্রবণের পর্যাপ্ত বৃষ্টিতে রোপা আমনের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন দামুড়হুদার কৃষকরা। দামুড়হুদায় একটি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে চলছে রোপা আমন রোপণ। আষাঢ় মাসের শুরু থেকেই বৃষ্টি হওয়ার কারণে বিনা সেচে আমন রোপণ করতে পেরে খুশি চাষিরা। কৃষকদের একটুখানি বিশ্রামের অবকাশ নেই। শুধুই কাজ আর কাজ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে কাজ। দামুড়হুদার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষায় সেচবিহীন কম খরছে আমন ধান চাষ করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে জমিতে রোপা আমন রোপণ শুরু করে দিয়েছেন কৃষকরা। দামুড়হুদা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি মরসুমে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্র বাড়তে পারে। সরেজমিনে মাঠ ঘুরে দেখা যায়, দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা, কুড়ুলগাছি, কার্পাসডাঙ্গা ও নাটুদাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা তাদের জমিতে আমন ধানের চারা লাগানো নিয়ে সকাল থেকে জমি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোথাও কোথাও মাঠ সমান করার জন্য পাওয়ার টিলার দিয়ে চলছে মইয়ের কাজ। কোনো কোনো স্থানে পাওয়ার টিলার ছাড়াও গরু দিয়ে এমনকি কৃষকরা নিজেই মই টেনে জমি সমান করার দৃশ্য দেখা গেছে। আবার কোথাও আমন ধান রোপণের জন্য বীজতলা থেকে তোলা হচ্ছে ধানের চারা।
কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের কুড়ুলগাছি গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দীন বলেন, চলতি মরসুমে ৪ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। এ বছর প্রচুর বৃষ্টির কারণে সেচ বাবদ খরচ কম হবে। আশা করি ধানের দাম ভালো থাকলে লাভ হবে। তবে একটু নিচু জমিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় কিছুটা ব্যহত হচ্ছে। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, “আমন ধান চাষে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে এবং সময়মতো সার ও সেচ প্রদান করলে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। আমরা নিয়মিত কৃষকদের জমি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছি। সঠিকভাবে চাষাবাদ ও রোগবালাই প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন সময় কৃষক-কৃষাণীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা পরিচালনা করা হয়েছে, কৃষি উপ-সহকারীরা কৃষকদের কল্যাণে মাঠে দিনভর কাজ করে যাচ্ছে। এবছর আষাঢ়-শ্রবণের বৃষ্টিতে এবার কৃষকরা আমন রোপণ করতে পারায় সেচ খরচ লাগেনি। আশা করছি, এবার আমন চাষে লাভবান হবেন কৃষকরা।