দামুড়হুদায় মা মেয়ের মধ্যে জমি নিয়ে খুনসুটি : মায়রে মৃত্য নিয়ে রহস্য

স্টাফ রিপোর্টার: মেয়ে সালমা খাতুন মা মুসলিমা খাতুনের মরদেহ ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে নিজেই খবর দেয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে। খবর পেয়ে মুসলিয়া খাতুনের লাশ উদ্ধার করে বাড়িতেই রাখা হয়। পরিবারের দাবি স্টোক করে মুসলিমা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এলাকার লোকজন বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে আলামত পায়। গতকাল বুধবার দুপুরে এঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বিকেলে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নেয়। পরে রাত ১১ টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত মুসলিমা খাতুন দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের হযরত আলীর স্ত্রী।
জানা যায়, গতকাল সকালে মেয়ে সামলা খাতুন ঘরের মধ্যে মুসলিমা খাতুনকে পড়ে থাকতে দেখে। বিষয়টি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জানালে তারা মরদেহ উদ্ধার করে দাফনের প্রস্তুতি নেই। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হওয়ায় এলাকায় তোলপাড় শুধু হয়। নাম না প্রকাশের শর্তে নিহতের এক আত্মীয় বলেন, মুসলিমা খাতুন ও তার মেয়ে সালমা খাতুনের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা নিয়ে খুনসুটি চলে আসছিল। মায়ের জমি নিজের নামে লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করতো। বিভিন্ন সময় মাকে নির্যাতন করতো। গতকাল বুধবার বেলা ১ টার দিকে নিজ ঘর থেকে মুসলিমা খাতুনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে মেয়ে সালমা খাতুন। পরে সেটাকে স্টোক বলে জানানো হয় সবাইকে। তিনি আরও বলেন, ধারনা করা হচ্ছে মেয়ে সালমা খাতুন বিষপানে মাকে হত্যা করেছে। এখন স্টোক বলে দাবি করছে। পরে বিষপানে মারা গেছে বলে অপ্রচার চালাচ্ছে। এ বিষয়ে মেয়ে সালমা খাতুন ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে বিকেলে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নেই। পরে রাত ১১ টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
দামূড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, এঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বিষপানে আত্মহত্যা করেছে এই নারী। বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গেনেয়ো হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment