দামুড়হুদা থানার তদন্ত ওসির পরিচয় দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ প্রধান শিক্ষককে মোবাইলে হুমকিধামকি
দর্শনা অফিস: দামুড়হুদা উপজেলা প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বরুপ দাসসহ ৫ প্রধান শিক্ষককে মোবাইলফোনে প্রতারণার ফাঁদ পেতে ফয়দা নিতে পারেনি প্রতারকচক্রের সদস্যরা। দামুড়হুদা থানার ওসি তদন্ত বলে পরিচয় দেয়া অভিযুক্ত প্রতারককেও ফোনে আর পাওয়া যাচ্ছে না।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দুটোর দিকে ০১৮৪২-৪৫১২৮৩ নম্বর থেকে অজ্ঞাতস্থান থেকে কল করা হয় দামুড়হুদা উপজেলা প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, দর্শনা আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বরুপ দাসকে। নিজেকে দামুড়হুদা মডেল থানার তদন্ত ওসি আব্দুল জব্বার পরিচয় দিয়ে স্বরুপকে বলা হয় ভুলক্রমে আপনার নম্বরে ১৫ হাজার টাকা চলে গেছে। আমি লাইনে থাকাবস্থায় টাকাগুলো যেন তার নম্বরে ফেরত দেয়া হয়। নিজেকে এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট দাবি করে আরো বলা হয় টাকা ফেরত না দিলে গ্রেফতারসহ তার চাকরি খেয়ে নেয়া হবে। স্বরুপ দাস জানান, অজ্ঞাত প্রতারকের কোনো হুমকি তোয়াক্কা না করে তার ফোন কেটে দেন। তবে তার ফোনে ১৫ হাজার টাকার একটা ভুয়া ম্যাসেজ আসলেও একাউন্ট চেক করে দেখা গেছে কোন টাকায় যুক্ত হয়নি। ওই প্রতারক পরপরই কল করেছে দামুড়হুদা মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুতুব উদ্দিন, দশমী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলেয়া বিলকিস, দামুড়হুদার হাউলীর কাদিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ও মদনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল হক। প্রত্যেকের কাছে একইভাবে প্রতারণার ফাঁদ পাতলেও কেউ প্রতারিত হননি ওই ফাঁদে পা দিয়ে। এ ব্যাপারে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক জানান, তার থানার ওসি তদন্তের নাম আব্দুল্লাহ আল মামুন। তবে এ ধরনের প্রতারক থেকে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

Comments (0)
Add Comment