দিন আনা দিন খাওয়াদের সরল উক্তি কাজ না করলে খাবো কী

কঠোর লকডাউনের মধ্যেও কাজের সন্ধানে চুয়াডাঙ্গার নির্দিষ্ট মোড়ে বসছেন দিনমজুরেরা
স্টাফ রিপোর্টার: দেশে কঠোর লকডাউনে চুয়াডাঙ্গার রাস্তায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি তেমন একটা না থাকলেও সকাল হতে না হতে দলবদ্ধ দিনমজুরেরা শহীদ হাসান চত্ত্বরে এসে সমাবেতন হচ্ছেন ঠিকই। ওখানে বসেই ওরা দিনহাজিরার কাজ পায়। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের একমাত্র উপার্যনক্ষম পুরুষ হওয়ায় এবং তাদের ঘাড়ে ক্ষুদ্র ঋণের বোঝা থাকায় বাড়ি বসে থাকার জো নেই।
শহীদ হাসান চত্ত্বরে কাজের জন্য ভোরে বসে থাকা এসব দিনমুজুরদের একজনও এক কেজি চালও পাননি বলে জানিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছে, শুনছি চাল ডাল তেল চিনি দিচ্ছে। আমাদের তো কেউ কিছুই দিলো না। সরকার বারণ করেছে বলে ঋণেল কিস্তি নিতে আসছে না। ক’দিন বাদে ওরা এসব সপ্তাহের টাকাও হিসেবে করে আদায় করবে। তাছাড়া দিন আনা দিন খাওয়াদের কাজ না করে বাড়ি বসে থাকলে চলে? করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে কিছু জানেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, “রোগে পড়লে তো পড়লামই, তার আগে অনাহারে থাকার কষ্ট কেউ কি করে?”
বছরের অধিকাংশ সময়ই চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্ত্বরের এক প্রান্তে, কমলপুর পিটিআই মোড়ে, সোহাগমোড়েসহ বেশ কিছু নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে যেখানে দিনমজুরেরা সকালে জড়ো হন। কৃষকসহ নানা কাজে লাগানোর জন্য দিনমজুরির বিনিময়ে এসব শ্রমিকদের নেয়া হয়। কাজ করে দুপুরে চাল ডাল নুন তেল তথা খাদ্য দ্রব্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে বাড়ি ফেরেন। সকালে যখন বাড়ি থেকে কাজের সন্ধানে বের হন তখন এদের অধিকাংশেরই হাতে থাকে টিপিন বাটি না হলে ছেড়া লুঙ্গি দিয়ে বাধা গামলা ঘটি। এতে থাকে খাবার। দুপুরের পর বাড়ি ফিরলে গিন্নি চুলোয় চাপা চাল ডাল। বিকেলেই সেরে নেন রাতের খাবার। অনেকেই আড্ডা দেন গ্রামের মোড়ের দোকানের মাঁচায়। পরদিন সকালে আবারও শুরু হয় সংগ্রাম। দোকানের মাঁচায় বসেই এসব রোগ বালাই সম্পর্কে জানতে পারেন। যদিও লকডাউনের কারণে গ্রাম পর্যায়েরও অধিকাংম দোকান বন্ধ। গতকাল শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্ত্বরে বসে থাকা কয়েকজন দিন মজুরের সাথে এসব নিয়ে আলাপচারিতার পাশাপাশি কথা হয় সরকারিভাবে দেয়া খাদ্য দ্রব্য পাওয়া না পাওয়া নিয়ে। হানুরবাড়াদির মরজেম আলী, কাথুলীর তক্কেল আলী, গাড়াবাড়িয়ার মহিদুল ইসলাম, কেদারগঞ্জের আজিজুল ইসলাম ও হানুরবাড়াদির জামাত আলীর অভিন্ন উক্তি। আমাদের এসব কিছু কেউ দেয়নি। শখ করে তো আর কাজের জন্য এসে এখানে ঝুড়ি কোদাল কাঁচি নিয়ে বসিনি। দিন আনা দিন খাওয়াদের বাড়ি বসে থাকলে চলে না। কাজ না করলে খাবোই বা কি, কিস্তির টাকাই বা পাবো কোথায়? যদিও এই লকডাউনে কাজও জুটছে না।
ঋণ নিয়ে কি করেছেন. কেই বললেন, গাভি কিনেছি। কেউ বললেন মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। কেউ এ বিষয়ে মুখ খেলেনি। বর্তমানে দিন মজুরি সাড়ে ৩শ থেকে ৪ টাকা। প্রতিদিন দিন মজুরি হলে হতদরিদ্র এসব পরিবারে খুব একটা সমস্যা থাকে না। কিন্তু সকলে প্রতিদিন কাজ যেমন পান না। তেমনই অনেকেরই সংসারে খানেওয়ালা বেশি। ক্যামেরা তাক করতেই যাদের মুখে মাস্ক ছিলো না তারা মাস্ক পরার তোড়জোড় শুরু করে। মাস্কপরার

Comments (0)
Add Comment