নদী পুনঃখনন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করার আহব্বান

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ৬৪টি জেলার অভ্যান্তরস্থ ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প ১ম পর্যায়ের আওতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় পুনঃখননকৃত নবগঙ্গা নদীর উভয় পাড়ে  বৃক্ষরোপণ ও নদীতে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। গতকাল শনিবার বেলা দেড়টায় চুয়াডাঙ্গা সদরের সুবদিয়া হোগলডাঙ্গা ব্রিজের নিকট নবগঙ্গা নদীর পাড়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বৃক্ষরোপণ ও নদীতে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড পশ্চিম রিজিয়নের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে একদিকে যেমন পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে, ঋতুর পরিবর্তন হয়ে খরার সময় বর্ষা আবার বর্ষার সময় খরা হচ্ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে। ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদ, নদী, খাল, বিল ও উন্মুক্ত জলাশয়। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদ নদী, খাল, বিল ও উন্মুক্ত জলাশয় পুনঃখননের কাজ এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য নদীর দুপাড়ে সবুজ বনায়ন করার কাজ শুরু করেছে। নদী পুনঃখননের পর নদীর পানি দিয়ে কৃষকেরা তাদের জমিতে সেচ দিয়ে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে পারবে। এলাকার গরীব মানুষেরা মাছ কিনে খেতে পারে না তাই এই সকল নদীর মাছ মানুষের আমিষের চাহিদা মেটাবে। নদীর পাড়ে রোপিত বৃক্ষ বড় হলে জমির মালিকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে। এ জন্য সরকারের এ কাজে বিরোধীতা না করে নদী এলাকার সকল মানুষকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। এরপর তিনি নদীর পাড়ে একটি বৃক্ষরোপণ ও নবগঙ্গা নদীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করে এ কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী একেএম ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুীর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়া সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চুয়াডাঙ্গার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহেদুল ইসলাম, চিফ ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট মাহফুজ আহাম্মেদ, কুষ্টিয়ার মুখ্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অধ্যক্ষ আইযুব আলী, কুষ্টিয়ার উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, চুয়াডাঙ্গা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুবীর কুমার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন, আকিম উদ্দিন, আজিবুল ইসলাম, ঠিকাদার বিশ্বজিত কুমার শাহা, আনারুল ও হাফিজুর রহমান।

 

Comments (0)
Add Comment