নমুনা পরীক্ষায় ৩ গুন এগিয়ে কুষ্টিয়া ॥ আক্রান্তের হার চুয়াডাঙ্গা জেলায় অধিক 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় ৩ গুন এগিয়ে কুষ্টিয়া জেলা। অথচ আক্রান্তের হার চুয়াডাঙ্গা জেলায় অধিক। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রেও কুষ্টিয়ার পিসি আর ল্যাবের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গাবাসীর রয়েছে অভিযোগ।

                জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলায় গত ২৮ জুলাই পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩২৮৫ জনের। পক্ষান্তরে কুষ্টিয়া জেলায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৯৬১০ জনের। যা চুয়াডাঙ্গা জেলার তুলনায় প্রায় ৩ গুণ বেশি। যদিও কুষ্টিয়া জেলার জনসংখ্যা চুয়াডাঙ্গা জেলার তুলনায় বেশি। তবে ৩ গুণ নয়। চুয়াডাঙ্গা জেলায় নমুনা পরীক্ষার মোট রেজাল্ট এসেছে ২৯৫৩টি, পক্ষান্তরে কুষ্টিয়া জেলায় নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে ৯৫৩টি। চুয়াডাঙ্গায় নমুনা সংগ্রহের বিবেচনায় রিপোর্ট প্রাপ্তির হার প্রায় ৯০ ভাগ, পক্ষান্তরে কুষ্টিয়ায় এই হার শতকরা ৯৪ ভাগ।

চুয়াডাঙ্গা জেলার স্বাস্থ্যবিভাগের অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসি আর ল্যাবে চুয়াডাঙ্গার প্রায় পৌণে ২০০টি নমুনা পড়ে আছে। আলমডাঙ্গা উপজেলার ৫০টির অধিক নমুনা সবসময়ই বকেয়া থেকে যায়। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার পিসি আর ল্যাবের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে অনেকে বলেছেন, কুষ্টিয়া পিসি আর ল্যাব কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ কিংবা মেহেরপুর জেলাকে যেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না।

              চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫৫ জন। পক্ষান্তরে কুষ্টিয়া জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪২২ জন। চুয়াডাঙ্গা জেলায় নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে আক্রান্তের শতকরা হার প্রায় ১৭ ভাগ। অন্যদিকে, কুষ্টিয়া জেলায় নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে আক্রান্তের শতকরা হার প্রায় ১৫ ভাগ।

চুয়াডাঙ্গা জেলার ওয়াকিবহাল মহলের অনেকে অভিযোগ করে বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে কুষ্টিয়া পিসি আর ল্যাবে জট সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ৪/৫ দিন আগে নমুনা দিয়েও রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এতে চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসী আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে। নমুনার রিপোর্ট বিলম্বে আসার সুযোগে করোনা আক্রান্তের পরিবারের মানুষ বিনা বাধায় অবাধে সর্বত্র ঘুরছে।

 

Comments (0)
Add Comment