নির্মাণকাজ করার সময় বিদ্যুতে ঝলসে যাওয়া রাজমস্ত্রি সুমনের মৃত্যু

ফলোআপ: চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ায় বাড়ির পাশের উচ্চ ক্ষমতার বিদ্যুত সঞ্চালন লাইনে বিপত্তি

স্টাফ রিপোর্টার: নির্মাণকাজ করার সময় বাড়ির পাশের উচ্চ ক্ষমতার বৈদ্যুতিক লাইনে বিদ্যুত স্পৃষ্টে ঝলসে যাওয়া রড রাজমিস্ত্রি সুমন অবশেষে মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার সকার ৮টার দিকে মারা যান তিনি। গতকালই তার মৃতদেহ ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে নেয়া হয়। রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফার্মপাড়ার খাদেমুল মাদরাসায় নামাজে জানাজা শেষে জান্নাতুল মওলা কবরস্তানে দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিলো।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের দক্ষিণ গোরস্তানপাড়ার মো. সালামের ছেলে দু’সন্তানের জনক ছিলেন। রড ও রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ১ নভেম্বর ফার্মপাড়ার প্রবাসী সরোয়ার হোসেনের স্ত্রী পারুলা খাতুনের দ্বিতলভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করছিলেন। কাজ করার সময় নির্মাণাধীন বাড়ির পাশে দিয়ে যাওয়া উচ্চ ক্ষমতার বৈদ্যুতিক লাইনে রড ঠেকে যায়। বিদ্যুত স্পৃষ্টে ঝলসে যান মিস্ত্রি সুমন (৩০)। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, সুমনের শরীরের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বুক পেট ঝলসে গেছে। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। ওইদিনই তাকে নেয়া হয় ঢাকায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মারা যান তিনি। মৃতদেহ গতকালই ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফার্মপাড়ার খাদেমুল মাদরাসা প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজার প্রস্তুতি নেয়া হয়।
পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, সুমন ছিলেন পরিবারের একমাত্র উর্পাজনক্ষম পুরুষ। তার স্ত্রী মৌসুমির সামনে এখন ঘোর অন্ধকার। দু’সন্তানের মধ্যে ছেলে রাজনের বয়স ৪ বছর, আর মেয়ে সুমাইয়ার বয়স মাত্র ১০ মাস। সাড়ে ৪শ টাকার হাজিরায় রড- রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুতে ঝলসে গেলে সুমনের পরিবারে নেমে আসে চরম অনিশ্চয়তা। এলাকার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর জানান, সুমনের চিকিৎসার জন্য নির্মাণাধীন বাড়ির মালিকের তরফে প্রথমে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়। পরে হেড রাজমিস্ত্রি জিয়া হোসেন চিকিৎসার জন্য ৪৫ হাজার টাকা দেন। এরপর শনিবার সুমন মারা গেছে শুনে নির্মাণাধীন বাড়ির মালিক সরোয়ার হোসেনের স্ত্রী পরুলা খাতুন নিহত সুমনের স্ত্রীর হাতে ১ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।

 

Comments (0)
Add Comment