পরের বউকে ভাগিয়ে নিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে পুলিশ সদস্যের বসবাস : অবশেষে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানায় ধর্ষণ মামলা

দামুড়হুদা অফিস: আমর্ড পুলিশ সদস্য অলক কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন এক নারী। ধর্ষণের শিকার নারী মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। কিছুদিন ধরে দামুড়হুদার গুলশানপড়ার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে স্বামী- স্ত্রী পরিচয়ে ওই পুলিশ সদস্যের সাথে বসবাস করে আসলেও বিয়ের জন্য চাপ দিতেই শুরু হয় ঝগড়া। এই ঝগড়ার জের ধরেই বেরিয়ে আসে ওদের প্রকৃত পরিচয়।
জানা গেছে মেহেরপুর মুজিবননগরের মহাজনপুর এলাকার মুসলিম পরিবারের নারীর সাথে মেহেরপুর সদর উপজেলার একই ধর্মালম্বির পুরুষের সাথে নারীর বিয়ে হয় ৭ বছর আগে। এদের সংসারে সন্তানও আসে। এর মাঝে আমর্ড পুলিশ সদস্য অলক কুমার ঘোষ বদলির সুবাদে মেহেরপুরে পোস্টিং পায়। খুলনা পাইকগাছা উপজেলার বাকা গ্রামের মহাদেব ঘোষের ছেলে অলোক কুমার ঘোষ মেহেরপুর পুলিশে দায়িত্ব পালনের সময় পরিচয় হয় ওই নারীর স্বামীর সাথে। এক পর্যায়ে নারীকে ফুসলাতে শুরু করেন অলোক কুমার। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘর ছাড়াও করে। ৯ মাস আগে স্বামীর সাথে ওই নারীর বিচ্ছেদ হয়। আমর্ড পুলিশের নায়েক অলোক কুমার ঘোষ বিয়ে না করেই স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়ে দামুড়হুদা গুলশানপাড়ার একটি বাড়ি ভাড়ায় নেয়। বসবাস শুরু করে। এরই মাঝে বিয়ের জন্য চাপ দেয় নারী। তখনই বিগড়ে যায় অলোক কুমার। বাধে ঝগড়া। বাকবিত-ার মাঝে বাড়িওয়লাসহ প্রতিবেশীরা জানতে পারেন অবৈধবসবাসের বিষয়টি। বাড়িওয়ালা ঘর ছাড়াতে বলেন। নারী তার বান্দবির বাড়ি গিয়ে ওঠে। সুযোগ বুঝে অলোক কুমার ঘোষ ভাড়াবাড়ির মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য ট্রাকে তোলে। খবর পেয়ে নারী ট্রাকের সামনে এসে দাঁড়ান। স্থানীয়দের মাঝে সব কিছু খুলে বলেন। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ মালামালসহ নারীকে থানায় নেয়। নারী ধর্ষণের অভিযোগ তুলে আমর্ড পুলিশের নায়েক অলোক কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। ঈদের পরদিন শনিবার মামলা দায়ের করা হয়।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন, এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে অলক কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Comments (0)
Add Comment