পানবরজে গাঁজা চাষ ॥ বরজ মালিক গ্রেফতার

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীতে আবারও সন্ধান মিলেছে গাঁজা চাষের। রাইপুর গ্রামের একটি পানবরজে অভিযান চালিয়ে গতকাল শুক্রবার গাঁজা গাছ উদ্ধার করেছে গাংনী থানা পুলিশ। এ সময় পান বরজ মালিক কুতুব উদ্দীনকে (৬০) গ্রেফতার করেছে।
গাংনী থানা সূত্রে জানা গেছে, গাংনী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম ও এএসআই বিপ্লবসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রাইপুর মাঠে অভিযান চালান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পেরেছিলেন একটি পান বরজে গাঁজা চাষ হচ্ছে। অভিযানে বড় আকারের ৭টি গাঁজা গাছ কেটে তা জব্দ করা হয়। গাঁজা চাষের অপরাধে গ্রেফতার করা হয় পান বরজ মালিক কুতুব উদ্দীনকে।
এদিকে গ্রেফতারের পর কুতুব উদ্দীন পুলিশের কাছে দাবি করেন গাঁজা চাষের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তার ছেলে সবুজ হোসেন এই পান বরজ দেখাশোনা করেন। তবে পুলিশের অভিযান টের পেয়ে আত্মগোপন করেন অভিযুক্ত গাঁজাচাষি সবুজ হোসেন।
গাংনী থানার পরিদর্শক তদন্ত সাজেদুল ইসলাম বলেন, পানবরজ মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। জব্দকৃত গাঁজার গাছগুলো আদালতে প্রেরণ করা হবে। গাঁজা চাষের বিষয়ে তদন্ত করে আত্মগোপনে থাকা সবুজ হোসেনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত এক বছর ধরে গাংনীতে গাঁজা চাষের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশের অব্যাহত অভিযানের পরেও গাঁজা চাষের ঘটনা মাঝে মাঝেই সামনে আসছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানান গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান।
রাইপুর মাঠের এ পান বরজে গাঁজা গাছ উদ্ধারের নেতৃত্বে ছিলেন গাংনী থানার পরিদর্শক সাজেদুল ইসলাম। এর আগে মটমুড়া গ্রামে ও বালিয়াঘাট গ্রামের গাঁজা গাছ উদ্ধারের নেতৃত্বেও ছিলেন পরিদর্শক সাজেদুল ইসলাম। গত বছরের ২২ নভেম্বর রাতে এ উপজেলার মটমুড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৫ কাঠা জমিতে গাঁজা চাষের সন্ধান পান পুলিশের একটি দল। রাতভর পাহারা দিয়ে পরদিন দিনের আলোয় ওই জমি থেকে দুই শতাধিক গাঁজা গাছ কেটে জব্দ করে পুলিশ। যা গাংনীতে সবচেয়ে বেশি জমিতে গাঁজা চাষের ঘটনা এবং সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গাঁজা গাছ জব্দ করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গাঁজা চাষের অপরাধে ক্ষেত মালিক দুলাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মাদক হিসেবে বিক্রির জন্য দুলাল গাঁজা আবাদ করেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়। দুলালের নামে মাদকের মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে গাংনী থানা পুলিশ। এর পরে বালিয়াঘাট গ্রামের একটি পান বরজ থেকে দু’টি গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হয়। গাঁজা চাষের অপরাধে পুলিশ গ্রেফতার করে পানবরজ মালিক শরিফুল ইসলামকে। তার নামে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সর্বশেষ রাইপুর মাঠে গাঁজা গাছ উদ্ধারের মধ্য দিয়ে আবারও আলোচনায় গাংনীতে গাঁজা চাষের বিষয়টি।

 

Comments (0)
Add Comment