প্রতারণার ফাঁদ : চুয়াডাঙ্গার আসাদ ঝিনাইদহে গ্রেফতার

দর্শনা অফিস: কখনো পুলিশের এএসপি, কখনো সরকারি বড় কমকর্তা আবার কখনো পিবিআই’র অফিসার সেজে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর চিলমারিপাড়ার আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদ। আসাদের ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই হয়েছে সর্বশান্ত। অভিযুক্ত প্রতারকের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার মামলাও রয়েছে বিভিন্ন থানায়। অবশেষে ঝিনাইদহ গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আসাদ।
জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া খাপাড়ার শেখ শাহবুদ্দিনের ছেলে রিপনের অভিযোগে জানা গেছে, বছর দেড়েক আগে আসাদ মোবাইল ফোনে নিজেকে ঝিনাইদহ পিবিআই’র এএসপি সেলিম রেজা পরিচয় দিয়ে তাকে বিভিন্ন ধরণের মামলায় হয়রানির ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা। এক পর্যায়ে রিপনের সাথে মোবাইলফোনে নিয়মিত কথা শুরু হয় সেলিমের। রিপনের ছোট ভাই শেখ রফিকুল ইসলামকে ঝিনাইদহ পিবিআই কার্যালয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলেও টাকা হাতিয়ে নেন আসাদ। রিপনের অভিযোগমতে বিভিন্নভাবে নগদ ও তার ব্যবহৃত ০১৯৪৬-২৭৯৭৯০ পারসোনাল বিকাশ নাম্বারে সর্বমোট ৬ লাখ টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছেন আসাদ। আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের বড়পুটিমারি গ্রামের আব্দুসুদ্দিনের ছেলে আক্তারুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বছর দেড়েক আগে আসাদুজ্জামান আমার স্ত্রী নাছিমা খাতুনকে চুয়াডাঙ্গা ডিসি অফিসের পিয়নের চাকরি দেয়ার কথা বলে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। সেই থেকে আসাদ গা ঢাকা দেন। তাকে দীর্ঘদিন খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। এদিকে ঝিনাইদহ গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গত পরশু মঙ্গলবার গভীর রাতে আসাদকে গ্রেফতার করে নিজ এলাকা থেকে। গ্রেফতারকৃত আসাদকে সোপর্দ করা হয় দর্শনা থানা পুলিশে। গতকাল বুধবার পুলিশ অভিযুক্ত প্রতারক আসাদকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। থানার ডিউটি অফিসার জানান, আসাদকে ঝিনাইদহের একটি প্রতারণা মামলায় সোপর্দ করা হয় আদালতে।

 

Comments (0)
Add Comment