ফেনসিডিলসহ চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ির মোমিনুল আটক

পলাতক এজাজ রিয়াজ প্রশান্তসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার সাতগাড়ি হিজরাপাড়ার মোমিনুল ইসলাম মমিনকে ফেনসিডিলসহ আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সাতগাড়ি মোড়ে ভাড়াবাসা থেকে ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ তাকে আটক করে সদর ফাঁড়ি পুলিশ। এ সময় পালিয়ে যায় তার তিন সহযোগী এজাজ, রিয়াজ হোসেন ও প্রশান্ত দাস। পরে মামলাসহ মমিনকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর ফাঁড়ি পুলিশ জানতে পারে পৌর শহরের সাতগাড়ি মোড়ে ফেনসিডিল বিক্রির উদ্দেশ্যে কয়েকজন অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেল ৪টার দিকে এসআই রইচ উদ্দিন শরীফ, এএসআই রেয়াজুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ সেখানে অভিযান চালান। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বড় মসজিদপাড়ার দোস্ত মোহাম্মদের ছেলে এজাজ (৩০), আলুকদিয়ার মৃত মাহবুব উদ্দিন রেজার ছেলে রিয়াজ হোসেন (২২) ও আলুকদিয়া দাসপাড়ার বিমল দাসের ছেলে প্রশান্ত দাস (২৭) পালিয়ে গেলেও আটক করা হয় সাতগাড়ি হিজরাপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোমিনুল ইসলাম মমিনকে (৩২)। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩০ বোতল ফেনসিডিল। গতকালই এজাজ, রিয়াজ ও প্রশান্ত দাসকে পলাতক দেখিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতারকৃত মোমিনুলকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। আজ শুক্রবার তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হতে পারে বলে জানায় পুলিশ।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর ফাঁড়ি পুলিশের এসআই রইচ উদ্দিন শরীফ জানান, মোমিনুল গত কয়েকদিন ধরে এজাজ, রিয়াজ হোসেনসহ কয়েকজনের সহযোগিতায় খুবই গোপনীয়তার সাথে সাতগাড়ি এলাকায় ফেনসিডিলের ব্যবসা করে আসছিলো। বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মোমিনুলকে আটক করলেও পালিয়ে যায় তার সহযোগিরা।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ খান জানান, গ্রেফতারকৃত এই আসামির স্বীকারোক্তি ও তথ্য অনুযায়ী পৌরসভা এলাকার বেশকিছু হোয়াইট কালার মাদক ব্যবসায়ীর তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা থানাসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বেশকিছু দায়িত্বশীল চৌকস টিম কাজ করছে। খুব শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments (0)
Add Comment