বর্তমান সরকারের আমলে দেশের কেউ গৃহহীন থাকবে না

আলমডাঙ্গায় ভূমিহীন-গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আলমডাঙ্গায় ভূমিহীন-গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে এ গৃহনির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রকল্পের আওতায় আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৫০জন ভূমিহীন-গৃহহীন দরিদ্রকে গৃহনির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের (ক শ্রেণি) দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ গৃহনির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে এ প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৫০টি নির্মিতব্য গৃহের মধ্যে ৩০ নভেম্বর কালিদাসপুর ইউনিয়নে ১১ শতক জমির ওপর ৩টি গৃহনির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ৩টি গৃহ পাচ্ছেন কালিদাসপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর ক্যানেলপাড়ার ইদ্রিস আলী, আব্দুর রাজ্জাক ও শ্রীরামপুর গ্রামের মঙ্গল ম-ল।
গৃহনির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতায় (ক শ্রেণি) সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গৃহনির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। বর্তমান সরকারের আমলে দেশের কেউ গৃহহীন থাকবে না। পরবর্তিতে এসব উপকারভোগীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদনমুখী করে তোলা হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ুন কবীর, কালিদাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা এনামুল হক, ইউনিয়ন (ভূমি) সহকারী রেজাউল করীম, মাওলানা হারিস মো. ডালিম, ইউপি সদস্য হাসিবুল ইসলাম, আফিল উদ্দিন, শিক্ষক আমান উল্লাহ, ওসমান গণি প্রমুখ। গৃহনির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে কোরআন তেলওয়াত করেন মাওলানা হাসানুজ্জামান।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসসূত্রে জানা যায়, ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ খাস জমি দিয়ে ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। ভূমিহীনদের জন্য নির্দিষ্ট নকশায় ঘরগুলো নির্মিত হচ্ছে। দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি আধা পাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এতে রান্নাঘর ও টয়লেটসহ অন্যান্য সুবিধা থাকবে নির্মিতব্য এসব বাড়িতে।

 

Comments (0)
Add Comment