মাছের ভেজাল খাবার তৈরির অপরাধে যুবকের জরিমানা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় মাছের ভেজাল খাবার তৈরির অপরাধে নাগদাহ গ্রামের শিপন আলী নামের এক যুবককে ভ্রাম্যমাণ আদালত অর্থদণ্ডাদেশ প্রদান করেছেন। আলমডাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ুন কবীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এ জরিমানা করেন।

জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে শিপন আলী (২০) কিছুদিন আগে আলমডাঙ্গা বাস টার্মিনালের নিকট একটি বিল্ডিং ভাড়া করেন। সেখানে বাজারজাত করার জন্য মাছের ভেজাল খাদ্য তৈরি শুরু করেন। সংবাদ পেয়ে গত ১০ অক্টোবর রাতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে মাছের ভেজাল খাবার  তৈরির উপাদান ডলোমাইট পাউডার, এক্সটা লাইন মাটি ও হাইড্রো ক্লোরাইড জব্দ করে। এক পর্যায়ে জব্দকৃত মালামাল  ভেজাল পরীক্ষার জন্য আলমডাঙ্গা কৃষি অফিসে নেয়া হয়। পরে কৃষি অফিসার ও মৎস্য অফিসারের উপস্থিতিতে জব্দকৃত মালামাল ভেজাল বলে নিশ্চিত করে। এ সময় পুলিশ মাছের খাবার তৈরি করে বাজারজাত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের কাগজপত্র দেখতে চাইলে অভিযুক্ত শিপন আলী ১ দিন সময় চেয়ে নেন। গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত তা দেখাতে ব্যর্থ হন তিনি।

সংবাদ পেয়ে সহকারী কমিশনার ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৫ হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান করেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫২ ধারায় এ জরিমানা করা হয়।

অভিযুক্ত যুবক জানান, সে মাত্র ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। সে ঢাকাতে মাপস নামক সিড কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে এক বছর চাকরি করেছেন। করোনাকালীন বাড়ি ফিরে ৭০ হাজার টাকায় মিক্সার মেশিন ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল কিনে মাছের ভেজাল খাদ্য তৈরিতে নেমেছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহেল রানা, মৎস কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুন্নাহার আঁখিঁ, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর, এসআই হাসনাইন, এসআই আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

Comments (0)
Add Comment