মাহিনের মৃত্যু নিয়ে রহস্য : পরিবারের ভিন্ন ভিন্ন তথ্য

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জাফরপুর গ্রামে মায়ের ওপর অভিমান করে মাহিন (৯) নামের এক শিশু গলাই ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার আগে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করে শিশুটি। শিশু মাহিন সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের ঈদগাঁপাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তবে শিশু মাহিনের মৃত্যুকে ঘিরে ধূ¤্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয়সহ পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিলে সেখানেই বাধে বিপত্তি। গাছ থেকে পড়ে গিয়েছে ও ভিন্ন তথ্য দেয়ায় শিশুটির গলাই রশির দাগ দেখে সন্দেহজনক হওয়ার মরদেহটি আটকে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শিশুটি বাবা আনোয়ার হোসেনসহ পরিবারের একাধিক সদস্য মাথাভাঙ্গাকে জানান, দুই ভাই এক বোনের মধ্যে শিশু মাহিন ছোট। বড় ভাই আনিছ শারিরীক প্রতিবন্ধী ও মানষিকভাবে অসুস্থ ছিলো। তাদের দাবি শিশু মাহিনও মানষিকভাবে অসুস্থ ছিলো। পড়তে বলাই মায়ের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এই অভিমানে সোমবার সন্ধ্যার আগে নিজ ঘরের আড়াই একটি ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে শিশু মাহিন। অপরদিকে নিহত শিশুটির চাচা বলেন, মাহিন মানষিকভাবে অসুস্থ ছিলো না। পড়তে বলায় মায়ের সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে। জাফরপুর গ্রামের ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত অসুস্থতায় ভুগছি। বিষয়টি শুনেছি। তবে কেউ কেউ বলছেন শিশুটি গাছ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছেন গলাই ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কি কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে সেটি এখনো অস্পষ্ট।
এদিকে শিশু মাহিনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইদুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে নেয়ার পূর্বেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, শিশুর মৃত্যুটি সন্দেহজনক। প্রথমে শিশুটি সাথে লোকজন বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়েছে বলে জানান। এর কিছুক্ষণ পর জানান গাছ থেকে পড়ে গিয়েছে। আমি পরীক্ষা নিরীক্ষার পর শিশুটির গলাই রশীর ফাঁসের চিহৃ দেখতে পাই। বিষয়টি সন্দেহজনক হলে পুলিশকে জানানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ খান মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে তদন্ত করেছি। মায়ের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে শিশুটি। তবে আত্মহত্যার আড়ালে অন্যকিছু আছে কি না তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Comments (0)
Add Comment