মেহেরপুরে কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে দুই শিশুকে হাত-মুখ বেঁধে নির্যাতন

এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ॥ অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ঝন্টু মিয়া থানায় ॥ অবশেষে মুক্ত
মেহেরপুর অফিস: কবুতর চুরির অপবাদে শান্ত ও জান্নাতুল নামের আট বছরের দুই শিশুর হাত ও মুখ বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুল ওহাব ঝন্টুর বিরুদ্ধে। গতরাতে মেহেরপুর শহরের শিশু বাগানপাড়া থেকে ওই সেনা সদস্যের বাড়ি থেকে শিশু দুটিকে উদ্ধার করা হয়। শিশু শান্ত বাগানপাড়ার সেলিম মিয়ার ছেলে এবং জান্নাতুল একই এলাকার মন্টু মিয়ার ছেলে। শিশু নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিলেও পরে আপস-মীমাংসার মাধ্যমে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে শান্ত ও জান্নাতুল কেটে যাওয়া একটি ঘুড়ি ধরতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুল ওহাব ঝন্টুর বাড়ির ছাদে ওঠে। ওই সময় ঝন্টু মিয়া দেখে ফেলে তাদের দু’জনকে আটক করে মুখ ও হাত বেঁধে আটকে রাখে।
সন্ধ্যার পর ওই দুই শিশুর অভিভাবক তাদেরকে খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে ঝন্টুর বাড়ির ছাদ থেকে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসলে অভিভাবকসহ এলাকাবাসী ঝন্টু মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের প্রবেশে করতে বাধা দেন এবং আটক দুই শিশুর বিরুদ্ধে কবুতর চুরির অভিযোগ করেন।
পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাত বাঁধা অবস্থায় দুই শিশুকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর শান্ত ও জান্নাতুল জানায়- একটি ঘুড়ি কুড়োনোর জন্য ওই বাড়ির ছাদে ওঠে বলে জানায়। কিন্তু বাড়ির মালিক কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে তাদের হাত ও মুখ বেঁধে আটকে রেখে দেয়।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে ঝন্টুর বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে পুলিশ ঝন্টু মিয়াকে আটক করে মেহেরপুর সদর থানায় নেয়। মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খান জানান, অবশেষে থানা চত্বরে ভুল স্বীকারের মাধ্যমে দুইপক্ষের মধ্যে মীমাংস হয়। সেনা সদস্য ঝন্টু মিয়কে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment