মেহেরপুরে পানির ট্যাংকি থেকে যুবকের মরাদেহ উদ্ধার

মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুর শহরের বেড়পাড়ার একটি বাড়ির পানির ট্যাংকি থেকে রাকিবুল ইসলাম (২২) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুরে বিবস্ত্র অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম। রাকিবুল ইসলাম বেড়পাড়ার আরমান আলীর ছেলে।
জানা গেছে, রাকিব আগের দিন রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে আরমান আলীর বাড়ির সামনে বকুলের বাড়ির ছাদে একটি পানির ট্যাংকির মধ্যে থেকে রাকিবের লাশ উদ্ধার করা হয়। বকুলের স্ত্রী মমতাজ ছাদের উপরে কাপড় মেলতে গিয়ে পানির ট্যাংকের ঢাকনা খোলা ও পাশে কিছু কাপড় পড়ে আছে দেখে সন্দেহ হয়। পরে ট্যাংকের ঢাকনা বন্ধ করতে গিয়ে পানির নিচে পড়ে থাকা লাশ দেখে চিৎকার শুরু করেন। এসময় প্রতিবেশীরা গিয়ে রাকিবের লাশ শনাক্ত করেন। পানির ট্যাংকের পাশে একটি ছোরা, রাকিবের জামাকাপড় পড়ে ছিলো। পরে স্থানীয়রা মেহেরপুর সদর থানায় খবর দেয়।
খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সদস্যদের সহযোগিতায় রাকিবের মরদেহ ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তিনি পানির ট্যাংকিতে পড়ে মারা যেতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম, পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, সদর থানার ওসি শাহ দারা, কাউন্সিলর বাপ্পি, ওসি তদন্ত আমিরুল ইসলামসহ ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহত রাকিবের মা রোকিয়া জানান, রাকিব রাতে ভাত খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি।
বাড়ির মালিক বকুলের স্ত্রী মমতাজ বলেন, দুপুর ১২টার দিকে ছাদে গিয়ে দেখি পানির ট্যাংকির ঢাকনা খোলা, পানির ট্যাংকির ঢাকনা বন্ধ করার জন্য কাছে গিয়ে দেখি ভেতরে একটি মানুষ পড়ে আছে। আমি চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে মৃত ব্যক্তিকে রাকিব বলে শনাক্ত করে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন রাকিব একজন মাদকসেবী, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশের ভয়ে সে রাতে বাড়ি থাকে না বলে অনেকে জানিয়েছেন।
মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম জামি বলেন, বেড়পাড়ার বকুল হোসেনের বাড়ির ছাদে পানির ট্যাংকিতে রাকিবুলের মরদেহ দেখতে পান বাড়ির লোকজন। রাকিবুলের বাড়ি বকুলের বাড়ির পাশেই। শনিবার রাতের কোনো এক সময় তিনি ট্যাংকির পানিতে ডুবে মারা যেতে পারে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।

Comments (0)
Add Comment