মেহেরপুর অফিস: বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মো. রিপুনুল হাসানকে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদে মেহেরপুর জেলার সকল সোনার দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলার জুয়েলার্স সমিতি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মেহেরপুর শহর ও উপজেলার সকল জুয়েলারি দোকান বন্ধ রয়েছে। এতে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। জেলা জুয়েলার্স সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, তারা এই গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন এবং অবিলম্বে মো. রিপুনুল হাসানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছেন। একইসঙ্গে তারা সকল হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। মেহেরপুর জেলা জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি কিশোর পাত্র বলেন, ‘যাচাই-বাছাই না করেই দেশের স্বর্ণ ব্যবসার নেতৃত্বে থাকা একজন সম্মানিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ব্যবসায়িক পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’ কর্মসূচি সম্পর্কে জেলা জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মোমিন বলেন, ‘আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা দোকান খুলছি না। প্রয়োজনে সারা দেশে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।’ স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই ঘটনার ফলে সাধারণ ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কে রয়েছেন। ক্রেতারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, কারণ অনেকেই আগেই অর্ডার দেয়া গহনা বুঝে পাচ্ছেন না। এদিকে, জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দোকান বন্ধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। তবে যদি দীর্ঘমেয়াদি বন্ধ অব্যাহত থাকে, তা হলে স্বর্ণ ব্যবসা ও সাধারণ গ্রাহকের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।