মেহেরপুর জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং করণীয় শীর্ষক অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা

মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং করণীয় শীর্ষক অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা  অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে  এ সমন্বয় সভা  আয়োজন করা হয়।

সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  জনাব মো: তরিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মেহেরপুর। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: খায়রুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেরপুর সদর, সভাপতিত্ব  করেন জনাব পার্থ প্রতিম শীল। অনুষ্ঠানে মেহেরপুর জেলার  সকল ইউনিয়নের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরগণ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের সার্বিক আয়োজন করে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন, বাস্তবায়নে ছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গ্রাম আদালতের জেলা ম্যানেজার জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান, সহযোগিতায় ছিলেন  উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ আলমগীর কবির (মেহেরপুর সদর), বাবুল আক্তার (গাংনী), মোঃ শাকিলুজ্জামান (মুজিবনগর)   এবং  পিএফএ মোঃ শাহাজুল।

অনুষ্ঠানে বক্তারা গ্রাম আদালতের কার্যক্রম, পরিচালনা পদ্ধতি ও এর গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রধান অতিথি বলেন : আপনারা ইউনিয়ন পরিষদে চাকরি করেন। পরিষদের উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকেন তার পাশাপাশি গ্রাম আদালতের কাজ করে থাকেন। গ্রামের ছোট খাটো বিরোধ ফৌজদারী ও দেওয়ানী বিরোধ আদালতে না যাই তার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত  গঠন করা হয়েছে। সেখানে আপনাদের পেশকার হিসেবে কাজ করতে হবে। এক চেয়ারম্যান যাবে আবার নতুন চেয়ারম্যান আসবে চেয়ারম্যানদের আপনাদেরকে শিখাতে হবে। যে মামলাগুলো গ্রাম আদালতের এখতিয়ারভুক্ত সে মামলা গুলো গ্রাম আদালতে চলবে আর যে সকল মামলা  এখতিয়ার বহির্ভূত সেগুলো উচ্চ আদালেত পাঠিয়ে দিবেন। যে সকল ইউনিয়নগুলো মামলা গ্রহণে পিছিেয় আছেন তারা মামলার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রচারণা  বৃদ্ধির ব্যবস্থা করবেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: খাইরুল ইসলাম বলেন, এই সমন্বয় সভার  মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং সাধারণ মানুষকে গ্রাম আদালতের সেবা আরও সহজে প্রদান করতে সক্ষম হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম দৃশ্যমান করতে হবে, ব্যানার ও সাইনবোর্ড স্থাপন করতে হবে, এবং মাসিক ভিত্তিতে আদালতের অবস্থান ও মামলার তথ্য হালনাগাদ রাখতে হবে।”

সভাপতি  বলেন,
সরকার গ্রাম আদালতকে ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান করেছে, এর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে গ্রামীণ বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে। গ্রাম আদালতে মানুষ হয়রানির শিকার হয় না; বরং এখান থেকে সুসম্পর্ক ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ে ওঠে।”
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীরা গ্রাম আদালতের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।