রক্তের গ্রুপে ভুল : প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালালো সততা ডিজিটাল এক্স-রে অ্যান্ড ইসিজি সেন্টারের কর্মীরা 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকায় সততা ডিজিটাল এক্স-রে অ্যান্ড ইসিজি সেন্টারের (ডায়াগনস্টিক সেন্টার) বিরুদ্ধে রক্তের গ্রুপের ফল ভুল দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার রাতে আব্দুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে রক্ত দেয়ার জন্য তার রক্তের গ্রুপের ফলাফল নির্ণয় করতে সততা ডিজিটাল এক্স-রে অ্যান্ড ইসিজি সেন্টারে যান স্বজনরা। সেখানে রক্তের গ্রুপের ফলাফল ‘ও’ পজেটিভ বলা হয়। ফল পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে রোগীর স্বজনেরা রক্ত ম্যানেজ করে ফেলেন। এরপরই বাধে বিপত্তি। রক্ত শরীরে পুশ করার আগে পুনরায় সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে পরীক্ষা করা হয়। সেখান থেকে জানানো হয় রক্তের গ্রুপ ‘বি’ পজেটিভ। এরপরই রোগীর স্বজনদের ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। বিক্ষুব্ধ স্বজনদের পাশাপাশি জড়ো হতে থাকে স্থানীয়রাও। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে সটকে পড়েন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।

রোগীর স্বজনদের অভিযোগ করেন, গতকাল বুধবার বিকেলে দামুড়হুদার ফকিরপাড়ায় আব্দুর রহমানকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে। তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে জরুরিভাবে চিকিৎসক রক্ত দেয়ার পরামর্শ দেন। রোগীর স্বজনেরা রক্তের গ্রুপ ফলাফল নির্ণয় করতে হাসপাতালের বাইরে সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যায়। সেখানে পরীক্ষার রিপোর্টে ‘ও’ পজেটিভ বলা হয়। রোগীর স্বজনেরা রক্ত নেয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে ৩ ব্যক্তিকে সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে নেয়। সেখানে পুরনায় রহমান শেখের রক্তের গ্রুপিং করালে পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায় ‘বি’ পজেটিভ। এ সময় রোগীর স্বজনেরা রাগে ক্ষোভে সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যায় এবং সেখানে ওই প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সাথে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে সটকে পড়ে। সততা ডিজিটাল এক্স-রে অ্যান্ড ইসিজি সেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী সাহেদ রহমান খোকন বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। রক্তের গ্রুপ নির্ণয় আমার ছেলে করেছিলো। তাড়াহুড়োর কারনে হয়তো ভুল হয়েছে। মানুষ মাত্রই ভুল করে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট বিদ্যুৎ বলেন, রোগীকে রক্ত দেয়ার জন্য তিন রক্তদাতাকে নিয়ে আসেন স্বজনেরা। আমি পুনরায় রোগীর রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করলে সেখানে ফলাফল ‘বি’ পজিটিভ আসে। চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান বলেন, রক্তের গ্রুপের ফলাফল ভুল হলে রোগীর জীবনের ঝুঁকি থাকে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments (0)
Add Comment