শশা খেয়ে অচেতন চার গরুব্যবসায়ী খোয়ালেন নগদ ৮ লাখ টাকা

গরু কেনার জন্য মুন্সিগঞ্জ থেকে আলসানি পরিবহনে চুয়াডাঙ্গায় আসার পথে বিপত্তি

স্টাফ রিপোর্টার:

চলন্ত বাসে জ্ঞান হারানো চারজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের জ্ঞান ফিরলেও গতরাত পর্যন্ত সংজ্ঞাহীন ছিলেন অন্য দুজন। গরু কেনার জন্য চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পশুহাটে যাওয়ার সময় বাসের মধ্যে শষা খেয়ে অচেতন হয়ে পড়েন মুন্সিগঞ্জ জেলার এক গরু খামারের চারজন। খুইয়েছেন গরু কেনার নগদ আট লাখ টাকার ব্যাগ। গতকাল মঙ্গলবার ফরিদপুর থেকে চুয়াডাঙ্গাগামী আলসানি পরিবহনে এ ঘটনা ঘটে। পরে বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে অচেতন অবস্থায় ওই চারজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা হলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বাড়ৈখালি ইউনিয়নের পশ্চিম বাড়ইখালি গ্রামের মেম্বাবাড়িপাড়ার মৃত শেখ হযরত আলীর ছেলে শেখে সাবেক ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দিন সেন্টু (৪৫), তার ছেলে শেখ নিবিড় (২০), ভাই শেখ হারেজ আলী (৫০) এবং গরুর খামারের কর্মচারী দিদার আলী (৫০)।

জ্ঞান ফেরার পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেখ নিবিড় ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলায় আমাদের গরুর খামার আছে। মঙ্গলবার সকালে খামারের জন্য গরু কিনতে বাবাসহ চারজন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পশুহাটে যাচ্ছিলাম। লোকাল বাসযোগে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে যায়। সেখান থেকে চুয়াডাঙ্গাগামী আলসানি পরিবহনে উঠি। আমরা ফরিদপুর জেলার মাঝামাঝি পৌঁছুলে বাসের মধ্যে থেকে শশা কিনে খাই। এর কিছুক্ষণের মধ্যে আমার সবাই অচেতন হয়ে পড়ি। এরপর আমার জ্ঞান ফিরলে দেখি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রয়েছি। তিনি আরও বলেন, গরু কেনার জন্য স্কুলব্যাগে আট লাখ টাকা নিয়ে আসছিলাম। সেই টাকার ব্যাগ আর পাওয়া যায়নি।

আলসানি পরিবহনের সুপারভাইজার ফারুক হোসেন বলেন, তারা চারজন ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে উঠেছিলো। চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছুলে তাদেরকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পাই। পরে চুয়াডাঙ্গা ডাকঘরের সামনে স্থানীয়দের কাছে হস্তান্তর করি। তিনি আরও বলেন, আমরা যাত্রীদের বাইরের কোনো কিছু না খাওয়ার জন্য সবসময় সতর্ক করে থাকি। একটু সতর্ক হলে প্রতারক চক্রের হাত থেকে রেহায় পাওয়া সম্ভব।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, চারজনই শঙ্কামুক্ত। তাদেরকে চেতনানাশক জাতীয় কিছু মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চিকিৎসা শেষে তাদেরকে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। দুজনের জ্ঞান ফিরলেও অপর দুজনের জ্ঞান ফেরেনি।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, রাজবাড়ি থেকে বাসের মধ্যে শশা খেয়ে অচেতন হয়েছে। বাসের সুপারভাইজার চুয়াডাঙ্গায় নামিয়ে দিলে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তারা সুস্থ হলে জানা যাবে কত টাকা নিয়েছে প্রতারক চক্রটি। আমরা ঘটনাটি উদঘাটনের চেষ্টা করছি।

Comments (0)
Add Comment