স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার বিদায়ী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বিপিএম-সেবাকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দৈনিক সময়ের সমীকরণ এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপনের সভাপতিত্বে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে ছিলেন পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম বিপিএম-সেবা। বার্তা সম্পাদক হুসাইন মালিকের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, দৈনিক প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মণ্টু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম, দর্শনা প্রেসক্লাবের সহসম্পাদক আওয়াল হোসেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রিফাত রহমান, এমএ মামুন, রেজাউল করিম লিটন, মফিজ জোয়ার্দ্দার প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন মেহেরাব্বিন সানভী, মোজাম্মেল শিশির, ইকবাল রেজা প্রমুখ। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন এসআই বাবু। অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথিরা বিদায়ী অতিথির হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গার বিদায়ী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, এ জেলায় দায়িত্বভার নেয়ার পর অনেক নেতিবাচক কথা শুনেছি। তবে আমার একটাই লক্ষ্যই ছিলো সকল নেতিবাচক দিকগুলোকে ইতিবাচক দিকে রুপান্তর করা। বিভিন্ন কারণে মানুষ পুলিশের আশ্রয় চায়। পুলিশের আশ্রয় না পেলে আইনের প্রতি মানুষের আস্থা হারায়। কোনো মানুষ যেনো পুলিশের সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। এ জেলায় চাকরি করতে এসে প্রতিটি থানায় আমি এমন নির্দেশনায় দিয়েছি। আমার যাবতীয় যতো প্রশংসা সবকিছুই সহযোদ্ধা-সহকর্মী পুলিশ সদস্যদের জন্য। সকলেই আমাকে এমনভাবে সহায়তা করেছেন, তারা এমনভাবে দায়িত্বগুলো পালন করেছেন, যার ফলশ্রুতিতে আমি আজ সম্মানিত বোধ করছি। আমার বদলিতে আজ এভাবে আমাকে সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে। আমি মানুষকে সম্মান করি। কে কোন অবস্থানে আছেন, আমার কাছে সেটা বড় বিষয় নয়। প্রতিটি মানুষকেই আমি সমানভাবে সম্মান করি।’ বিদায়ের মুহূর্তে তিনি চুয়াডাঙ্গাবাসীর কল্যাণ কামনা এবং নিজের জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রত্যাশা করেন।