স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের ঘটনায় রিমা- মঞ্জুর : জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ফারুককে জেলহাজতে প্রেরণ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক হোসেনের একদিনের রিমা- মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রতিবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে আসামিকে। বিজ্ঞ আদালত আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যা তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়সলুয়া গ্রামের সামসুল আলম ফরজন মাস্টারের ছেলে তিতুদহ ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক হোসেন গত ২২ ডিসেম্বর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্ত্রী নাফিয়া ইয়াসমিনকে গুলি করে হত্যার উদ্দেশ্যে ৩ রাউন্ড গুলি চালান তিনি। তবে তা লক্ষভ্রষ্ট হয়। ঘটনার দিন ভোররাতে দর্শনা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করে। সেই সাথে একটি একনলা রাইফেল ও ১৩৪ রাউ- গুলি উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, ১শ রাউ- গুলির হিসাব থাকলেও বাকিগুলোর হিসেবে গড়মিল থাকে। এ ঘটনায় ফারুক হোসেনর স্ত্রী নাফিয়া ইয়াসমিন বাদি হয়ে একটি মামলা এবং গুলির হিসেবে গড়মিল থাকায় দর্শনা থানার এসআই হারুন উর রশিদ বাদি হয়ে অপর একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুমন্ত বিশ্বাস গত ২ জানুয়ারি আসামিকে ৫ দিনের রিমা-ে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক একদিনের রিমা- মঞ্জুর করেন। এসআই সুমন্ত বিশ্বাস বলেন, পরের দিন ৩ জানুয়ারি আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে আনা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরের দিন প্রতিবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়াগেছে যা তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে। এদিকে ফারুক হোসেন জেলহাজতে থাকলেও আসন্ন তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বি করায় তার পক্ষে মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন স্ত্রী নাফিয়া ইয়াসমিন।

 

Comments (0)
Add Comment